পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●● বিভূতি-রচনাবলী তোমাদের চৈতন্ত হবে। সেদিন কি বলে দিয়েছিলাম ? —তা বাৰু, বলে তো দেলেন–কিন্তু ইদিকি ৰে মোদের দিন চলে না এমনভা হয়েচে । এই মোকৰ্দমায় এপর্যন্ত বাইশ-তেইশ টাকা উকীল-মোক্তারের দেন, আর পুলিশ— —ওসব প্যানপ্যালানি রাখগে বা তুলে। টাকা না আনিস, এক পা নড়ব না এখান থেকে—দেখি কি হয়—ক-বছর ঘানি টানতে হয় দেখি একবার— o --না বাৰু আপনি একবার চেষ্টা করে দেখুন—আমি ট্যাকার সন্ধান করে আসচি— ৰাজারের দিকি ধাই—আমাদের গায়ের দুটো লোক এসেচে—তাদের কাছে— —তা বা শিগগির স্বা—আর শোন, একটা কথা—কাছে আয়— তাহার কাছে সরিয়া আসিলে বন্ধু-মোক্তার গলার স্বর নিচু করিয়া বলিলেন—খবরদার ষেন কোর্টের দিকে ধাবিনে—তোদের দেখলে হাকিমের রাগ হবে-শেযকালে বাচাতে পারব না তোদের–টাকা এনে আমার হাতে দিয়ে চুপটি করে এই বার লাইব্রেরীতে বারান্দায় ৰসে থাকবি, বুঝলি ? --বেশ বাৰু, বা বলবেন । লোক ছুটি চলিয়া গেলে হরি ও ধরণী-মোক্তার হো-হো করিয়া হাসিয়া ঘর ফাটাইবার BBBB BBBBS BBSBBBB BBBBSBBS BBSBBD DDDS DD DD মস্কেলের চালাকি ? না কোর্টের আমলাদের চালাকি ? স্বদ্ধ সগৰ্ব্বে বলিলেন—অtরে ভায়া, টাকা রয়েচে ওদের কাছে। দেবে না—দিতে চায় না! এই কাজ কচি এই রামনগরের কোর্টে আজ চল্লিশ বছর প্রায়। দেখে দেখে ঘুণ হয়ে গেলাম। এখুনি দেখ এসে টাকা দিয়ে যাবে। বাইরে দুজনে পরামর্শ করতে গেল আর কাছ থেকে টাকা খুলতে গেল । আমি জ্ঞান হয়ে অবধি এই দেখে আসচি-কত হাকিম এল, কত হাকিম গেল । রমেশ দত্তকে এই কোটে দেখেচি—তখন তিনি জয়েন্ট ম্যাজেস্ট্রেট—সিভিলিয়ান রমেশ দত্ত—আমি আজকের লোক নই। নিখুকে ভাকিয়া বন্ধ বাড়ুধ্যে বলিলেন—তুমি বল এখানে। আমি এজলাসে যাব একবার। কোথাও ষেও না টাকা আদায় না করে । আজ বারো মাসের মোক্তারী জীবনে নিখু এরকম অনেক দেখিল। এক-একবার তাহার মনে হয় এর চেয়ে স্কুল-মাস্টারি করা অনেক ভালো ছিল । এ দুঃখের কথা—পলে-পলে মন্থয়ত্বের এই মরণ-কাহার কাছে এসব কথা ব্যক্ত কৱিবে সে ? একজন মাত্র মানুষ আছে। সে মঞ্চ । মঞ্জুর কাছে সামনের শনিবারে সব সে খুলিয়া বলিবে । এ জীবন আর ভালো লাগে না । কোর্টের কাজ সারিয়া বাহির হইতে প্রায় পাঁচটা বাজিল। সাধন-মোক্তার তাহাকে ৰাসায় ৰাইবার পথে ধরিয়া বসিলেন-ওহে নিধিরাম শোনো শোনো। আমার সে =Մրitպեi- * —জাঙ্গে, বুঝেচি। সে এখন হবে না।