পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

šiště SS নিলুকায়া ভুলে আগেই উঠে দাঁড়িয়ে ওদের কথা শুনেছিল। কথা শেষ হতেই বললে --চলো মেজদি, আমরা যাই বড়দাদাকে দেখে আসি । ভবানী বাড়ুষো বললেন-ধেও না। -ঘাবো না ? বড় দেখতে ইচ্ছে কায়চে । -আমি নিজে গিরে তত্ত্ব নিয়ে আসচি। তুমি গেলে তোমার গুণন্ধর দিদি যেতে চাইবে । খোকাকে রাখবে কে ? তিলুও বললে-না যাস নে, উনি গিয়ে দেখে আসুন, সেই ভালো। ওদের একটা গুণ আছে, ভবানী বারণ করলে আর কেউ সে কাজ করবে না। নিলু। বললে--আপনার মনটা বড় জিলিপিৱ-পাক, জানলেন ? আমার দাদায় জঙ্গি আমার কি যে হচ্ছে, আমিই জানি। দেখে আসুন যান আধঘণ্টা পরে দেওয়ান রাজায়ামের চণ্ডীমণ্ডপে অনেক লোক জড়ো হয়েচে । তার মধ্যে ভবানী বািড়য্যেও আছেন। ফশি চঞ্চাত্ত বণকে ন-তারপর ভায়া, কোনো চোটু-টোটু লাগে নি তো ! রাজারাম রায় বললেন-না দাদা, তা লাগে নি, আপনাদের আশীৰ্ব্বাদে यूकड्ने इच्च नि । এর আগে ওয়া অনেক লোক নাকি মেরেছিল, সে হোলো নিরীহ গায়ের লোক । —তিতুমীর কেডা ? —মুসলমানদের মোড়লপান যা বোঝলাম ওদের কথাবাৰ্ত্তার ভাবে। সেদিন বসে আছে হঠাৎ বড়সাহেবের কাছে চিঠি এল, পিতু মীর বলে একটা ফকির মহারাণীর সঙ্গে লড়াই বাধিয়েচে । নীলকুঠির লোকদের ওপর তার ভধানক কাগ। লািঠপাঠ করেচে, খুনখারাবি शंका ॥ —চিঠি দিলে কে বড় সাহেবের কাছে ? -ডঙ্কিনসন সাহেবের জায়গায় যে নতুন ম্যালিস্টর এসেচেন, তিনি লিখেচেন তোমরা লোকজন নিয়ে এসো-যেখানে যত নীলকুঠির সায়েব ছিল, গিয়ে দেখি যমুনার ধারে আমবাগানে তঁাবু সব সারি সারি। লোকজন, ঘোড়া, আসবাব, বন্দুক । ওদিকে সরকারী সৈন্য এসেচে, তাদের তাঁবু । সে এক এলাহি কাণ্ড, দাদা। আমার তো গিয়ে ভারি মজা লাগতি লাগলো। প্ৰসন্ন চন্ধান্ত আমীন গিয়েছিল, ২, বড় দুদে। বললে, আমি দেখে আসি তিতুমীর কোথায় কি ভাবে আছে । আমাদের কারো স্পন্ন হয় নি। যুদ্ধই তো হোলো না, একটা বাঁশের কেল্লা বঁধিয়োচে যমুনার ধারে। --অনেক সায়েব জড়ো হয়েছিল ? --বোয়ালমারি, পানচিতে, রঘুনাথগঞ্জ, পালপাড়া, দীঘড়ে-বিষ্ণুপুর সব কুঠির সায়েব লোকজন নিয়ে এসেছে ! বন্দুক, গুলি, বারুদ। মুরগি, হাস, খাসি যোগাচ্চে গায়ের লোকে। একটা মেয়েছেলেকে এমন মাৱ মেরেচে তিতু মীরের লোক যে, তার নাকমুখ