পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইছামতী অগ্নি ধার মন্তক, চক্স ও স্বৰ্য্য, চক্ষু, দিকসকল কৰ্ণ, বেদসমূহ ৰাক্য, বায়ু প্ৰাণ, হৃদয় বিশ্ব, পাদম্বিয় পৃথিবী-ইনিই সমুদয় প্রাণীর অন্তরাত্মা। তিনিই আকাশ দেখতে শিখিয়েছিলেন। তিনি চক্ষু ফুটিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। তিনি শিখিয়েছিলেন যেমন প্ৰজলিত অগ্নি থেকে সহস্ৰ সঙ্কল ফুলিঙ্গ বার হয়, তেমনি সেই অক্ষয় পুরুষ থেকে অসংখ্য জীবের উৎপত্তি হয় এবং তঁতেই আবার বিলীন হয় । উপনিষদেয়। সেই অমর বাণী। এই শিশু সেই অগ্নির একটি স্মৃলিঙ্গ, সুতরাং সেই অগ্নিই নয় কি ? তিনি নিজেও তাই নয়। কি ? এই বনঝোপ, এই পাখী ও তাই নয় কি ? এই নিষ্পাপ শিশুর হাসি ও অর্থহীন কথা অন্য এক জগতের সন্ধান নিয়ে আসে। তঁর কাছে। এই শিশু যেমন ভালোবাসলে তিনি খুশি হন, তিনিও তো ভগবানের সন্তান, তিনি যদি ভগবানকে ভালোবাসেন, ভগবানও কি তঁর মত খুশি হন না ? তিনি বহুদিন চলে এলেচেন সাধুসঙ্গ ছেড়ে, সেখানে অমৃত্যুনিস্তম্মিানী ভগবতী কথা ব্যতীত সকাল থেকে সন্ধ্যা পৰ্যন্ত অঙ্গ প্ৰযুঙ্গ ছিল না, অসীম তারা ভরা যামিনীর বিভিন্ন ঘামগুলি ব্যেপে, বিনিম্ন জ্ঞানী ও ভক্ত অপ্ৰমত্ত মন সংলগ্ন কয়ে রাখতেন বিশ্বদেবের চরণকমলে। হিমালয়ের বনভূমির প্রক্ষিপত্রে যুগযুগান্তব্যাপী সে উপাসনার রেখা আঁকা আছে, আঁকা আছে তুষারধারার রাজতপটে । তঁদের অস্তমুখী মনের মৌন প্রশান্তির মধ্যে যে নিভৃতবনকুশ, সেখানে সেই পরম সুন্দর দেবতার উদ্দেশ্যে প্ৰেমাৰ্য্য নিবেদিত হোতে আকুল আবেগের यूझडिrड ! আরও উচ্চ স্তুরের ভক্তদের স্বচক্ষে তিনি দেখেন নি, কিন্তু তাঁদের সন্ধান নেমে এসেচে তুষার শ্ৰেত বেয়ে বেয়ে উচ্চ পর পাৰ্ব্বত শিখর থেকে, সে গঞ্জীর সাধন-গুহার গহনে রােখনভির মত অবিচলিত ও সংযত আত্মা সকল আবিস্কাগ্ৰন্থি ছিন্ন করেচেন জ্ঞানের শক্তিতে, প্ৰেমেয় শক্তিতে । ভবানী বািড়য্যে বিশ্বাস করেন তারা আছেন। তিনি সাধুদের মুখে শুনচেন। DDD DBDD BB g DDtBtSuuuS BtBLHDS BBBD DBDY TuBBDuDS BDL পাপপুণ্যের জ্ঞান আছে, ভগবানের নাম বজায় আছে, চাদ ওঠে, তারা ফোটে, বনকুসুমের গন্ধে অন্ধকার সুবাসিত হয়। এই সব পাড়াগাঁয়ে এসে তিনি দেখচোন। সবাই জমিজমা, টাকা, খাজনা, প্ৰজাপীড়ন, পরিচর্চা নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কখনো ভগবানের কথা তাকে জিজ্ঞেসও করে না, কেউ কোনোদিন সংগ্ৰসঙ্গের অবতারণা করে না। ভগবান সম্বন্ধে এরা একেবারে অজ্ঞ। একটা আজগুবি, অবাস্তব বস্তুকে ভগবানের সিংহাসনে বসিয়ে পুজো করে কিংবা ভয়ে কঁপে, কেবলই হাত বাড়িয়ে প্রার্থনা করে, এ দাও, ও দাও-সেই পরামদেবতার মহান সৱাকে, তার অবিচল করুণাকে জানিবার চেষ্টাও কয়ে না কোনদিন। কায় বৌ কবে ঘোমটা খুলে পথ দিয়ে চলেছে, কোন ষোড়শী মেয়ে কার সঙ্গে নিভৃতে কথা বলেচে-এই সব এদের