পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిసి দশ বিশ খানা মহাজনী কিস্তি রোজ তায় সায়েয়ে এসে মাল নামিয়ে উঠিয়ে কেনা-বেচা করে। দুজন কয়াল জিনিস মাপতে হিমশিম থেয়ে যায়। অন্তত পঢ়িশ হাজার টাকা সে মূনাফা করলে এই এক মরসুমে পটপটিতলার সায়ের থেকে । লোকজন, মুহুরী, গোমন্তা রাখলে, মুদীখানার দোকান বড় গোলদারী দোকানে পরিণত করলে, পাশে একখানা কাপড়ের দোকানও খুললে। আগের নালুপাল ছিল সম্পন্ন গৃহস্থ, এখন সে হোলো ধনী মহাজন। কিন্তু নালুপালকে দেখে তুমি চিনতে পারবে না। খাটাে ন’ হাত ধুতি পৱনে, খালি গা, খালি পা। ব্ৰাহ্মণ দেখলে ঘাড় দুষ্টয়ে দুই হাত জোড় ক’ৱে প্ৰণাম ক’রে পারের ধুলো নেবে। গলায় তুলসীর মালা, হাতে হরিনামের ঝুলি-না, নালুপাল যা একজীবনে করলে, অনেকের পক্ষেই তা স্বপ্ন । যদি তুমি জিজ্ঞেস করলে-পাল্যাশায়, ভালো সব ? বিনীত ভাবে হাত জোড় ক’রে নালুপাল বলবে-প্ৰাতো পেয়াম হই। আসুন, বসুন। না, ঠাকুরমশাই, ব্যবসার অবস্থা বড় মন্দা। এ সব ঠাট-বাট তুলে দিতি হবে। প্ৰায় আচল হয়ে এলেচে । চলবে না। আর । মুখের দীনভাব দেথলে অনভিজ্ঞ লোকে হয়চো নালু পালের অবস্থার বর্তমান অৰুন্নতির জন্থে দুখ বোধ করবে। কিন্তু ওটা শুধু বৈষ্ণব-সুলভ দীনতা মাত্র নালুপালের, বাস্তব অবস্থার সঙ্গে এর কোন সম্পর্কই নেই। সায়েরেই বছরে চোন্ধি পনেরো হাজার টাকা কেনাবেচা হয়। ত্ৰিশ হাজার টাকা কাপড়ের কারবারের মূলধন । নালুপালের একজন অংশীদার আছে, সে হচ্ছে সেই সতীশ কলু। দুজনে একদিন মাখায় মোট নিয়ে হাটে হাটে জিনিসপত্র বিক্ৰী করতো, নালুপাল সুপুরি, সতীশ কলু ভেল। তারপর হাতে টাকা জমিয়ে ছোট এক মুদির দোকান করলে নালু পাল! সতীশের পরামর্শে নালু তোম্বৱশেখ হাটি আর বঁাধমুড়া মোকাম থেকে সৰ্যে, আলু আর তাম’ক কিনে এনে দেশে বেচিতে শুরু করে । সতীশ এতে শূঙ্গ বখরাদার ছিল, মোকাম সন্ধান করতো। কাটায় মাল খরিদ করতে ওস্তাদ-ঘুঘু সতীশ কলু। কৃতিত্ব এই একবার তাকালে বিক্রেতা মহাজন বুঝতে পারবে, ই খন্ধের বটে। সতীশ কলুৱা কৃতিত্ব এই উন্নতির মূলে-নালুপাল গোড়া থেকেই সততার জঙ্কে নাম কিনেছিল। দুজনের সম্মিলিত অবদানে আজ এক্ট দৃঢ় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি sits ecs স্বামী বাড়ী ফিরলে তুলসী বললে-ইত্যাগ, এবার কালীপূজাতে অমান হিষ হয়ে বসে আছ 〔尊a? SiLBT DBBBuL E BBDLu DBB BDBS BBB BuBB BB uBL YY EDLS KBLS আনবার কোনো বন্দোবন্ত করে উঠতি পাচিনে -ও সব আমি শুনচিনে। আমার ইচ্ছে, গায়ের সব বেরাহ্মণদের এবার লুচি চিনির ফলীয় খাওয়াবো। তুমি বন্দোবস্ত করে দাও। আয় আমার সোনার যশম চাই।