পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SY विष्ट्रश्ड-ब्रष्नांबौ “মহাভারতের কথা নিয়ে এ আবার কি রকম কাব্যি ?” আমরা আবার যেন প্ৰশ্নকৰ্ত্তাদের দলে না পড়ি। কবি-মানস কোন দিন হুজুকের বশীভূত হবেন না। দুদিনের হাততালিকে অৰজা করলেও তার চলবে। অনৰ্থক কালাপাহাড়ী যেখানে সেখানে তঁর মৃত্য অত্র ও কল্যাণদৃষ্টি কখনো সায় দেবে না। শিল্পীর সকল রচনার মধ্যে থাকবে একটি চরিত্র । রচনার ওপর এই চরিত্রের দৃঢ় ছাপই পাঠকের মনে এনে দেবে নিঃসংশয় নির্ভরশীলঙ্কা । এ আমরা যেন আদৌ ভুলিনে যে কোন রচনার আধুনিক যুগেয় সমস্যা আছে কিনা, রাজনীতির ক্ষেত্রে লেখকের দৃষ্টি স্বচ্ছ না ঘোলাটে, দুর্ভিক্ষের কথা ঠিক করে বলা হল কিনা -এ সব দেখে সাহিত্য বিচার হয় না। আজকাল নানা কারণে আমাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এসেচে, মন হয়ে এসেচে। নিন্তেঙ্গ। সমালোচনার আদর্শ অঙ্ক রকম হয়ে দাড়াচ্চে । জীবনের শাশ্বত ধ্রুব সত্যকে আমরা এখন অস্বীকায় করে চলেচি। ষে দেশে গীতায় মত সাহিত্য দ্বাচিত হয়েছিল, যা আজ দেণ্ড হাজার বৎসর ধরে স্বকীয় আলোয় উদ্ভাসিত, কঙশত মনীষীয় ভায়া-টীকা-টপ্পানীর অর্ধপুষ্পে যা এষ্ট দীর্ঘ দিন ধরে সৃজিত হয়ে এসেচে-আজ আমাদের দুর্ভাগ্য সেই দেশের সাহিত্যের আদর্শ আমাদের আমদানি করতে হয়। সমুদ্রপারের দেশ খেকে। সাংবাদিকতা ও সাহিত্য যে এক জিনিস নয়। এ কথা আমরা ভুলতে বসেচি। সেদিনাও আমাদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, যে শুদ্ধ নিৰ্ম্মল পরিবেশ ও উদার শুভবুদ্ধি শিল্পী-মানসের একমাত্র একান্ত প্ৰয়োজনীয়, তিনি তার আদর্শ স্থাপন করে গিয়েছেন তার জীবনব্যাপী সাধনার মধ্য দিয়ে, তার তপস্ত্য"গুৰু, মৌনমুখর মুহুর্তগুলির মধ্য দিয়ে দিনশেষেব কল্যাণরাগিণী কেমন নানাভাবে অরূপের ও রূপের ঐশ্বৰ্য্য বিস্তার করেচে। তার লেখনীর লীলা বিলাসের ছন্দে, আমরা সাহিত্যকে পলিটিকসের দিন-মজুৰীতে নিয়োগ করার পূর্বে একথা যেন একবার ভেবে দেখি । এত কথা বলবার কারণ যে সম্পূর্ণরূপে ঘটেচে এমন উক্তি আমি করাচি না। বাংলা সাহিতা আজ বেখানে এসে দাঁড়িয়েচে, এ কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যায় যে ভারতীয় অন্যান্ত প্ৰাদেশিক সাহিত্য-গ্লাসিকগণ বাংলা সম্বন্ধে কৌতুহলী হয়ে উঠেচেন এবং মূল বা बश्वांग সাহায্যে তঁরা রবীন্দ্র। পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে নিজেদের পরিচয় স্থাপন করতে বাগ্ৰ এ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্য। সেজন্তেই আমাদের অবহিত হতে হবে যেন আমরা সাময়িক উত্তেজনার মোকে পথভ্রান্ত হয়ে না পড়ি । ভারতীয় আদর্শ অমান রাখবার দায়িত্ব আমাদেরই হাতে-এ কথা আমরা যেন না ভুলি। নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে যেন পথ দেখে নিয়ে চলি সত্য ও সুন্দরের পেছনে, সাময়িক হুজুক থেকে নিজেদের যেন যথাসম্ভব দুরে রেখে চলি। দেশপ্রেমের এ আর এক দিকের বিকাশ, স্পষ্ট কণ্ঠে এ কথা প্রচার করতে cश्न जन्जिड ना हरे। আবার রবীন্দ্রনাথের কথা তুলতে হয়। সাহিত্যে কতবড় আদর্শ তিনি আমাদের সামনে তুলে ধরে রেখে গেলেন। আজ আমরা রবীন্দ্রনাথের স্থতি রক্ষা করচি, ঘরে ঘরে, কিন্তু রসক্ষেত্রে বা শিল্পের ক্ষেত্রে তার পূজা ওভাবে হবে না। হবে যখন আমরা রবীন্দ্ৰ-সাহিত্যেয়