পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eg-AR বিভূতি-রচনাবলী অক্ষয় হয়ে আছো-কত গাঁখা, কত কাহিনী কত কথা। সে যুগের পটভূমিকায় রচিত কথাশিল্প হচ্চে ও গুলি, যে কথা স্কুলে গেলে চলবে না। সমসাময়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্নচিত্ত হয়েছিল কত গাথা, কত কাৰ্য-রাজসভায় মহাকৰি সেগুলিয় আবৃত্তি করে যেতেন। শিক্ষগণ সমক্তিব্যাহারে। এইজন্যে পুনরায় বলি সমাজ-সচেতনতা লেখকের মন্তবড় গুণ। যিনি দেশের অভাবঅভিযোগের প্রতি উদাসীন থেকে সাহিত্য রচনা করেন, তিনি নিজের কবিমানসোয় প্রতি DDBD DBDBBDD DDDBDDL DBD DD BDD BBLLDB BBDDSBuBEBLBLE BDBDDB BiD DDD DBB DBDBD BDBu DDBDBD DBDD DB DB DBDBDDBB চরিতার্থ করতে পারেন, কিন্তু জীবনের ওপর তার কোন স্থায়ী ফল ফলে না। গল্পে ও উপন্যাসের ক্ষেত্রে আমাদের হতাশার কারণ নেই, নবতায় অশ্ববাহিনীর অশ্বক্ষুরোখিত ধুলি দিকচক্রবালে দেখা দিয়েছে, আগেই বলেছি। আর একবার সেই আশার বাণীটি উচ্চারণ কয়ে আমি বক্তব্য শেষ করবো। এই তরুণ লেখকের অত্যুদয়কে আমি অভিনন্দন জানাই। অত্যন্ত আনন্মের সঙ্গে লক্ষ্য করাচি কয়েকজন শক্তিধর নবীন পুজারীর আবির্ভাব। এতে এই প্ৰমাণ হোল যে, বাংলায় প্ৰাণশক্তির উৎস আজও তেমনি সজীব যেমন, তা ছিল মুকুন্দরামের চত্তীকাব্যের যুগে, যেমন ছিল ভারতচন্দ্ৰে যুগে, যেমন ছিল নৰ বাবুবিলাসের তৰানী বন্দোপাধ্যায়ের যুগে, যেমন ছিল বঙ্কিম-শরৎ-রবীন্দ্রনাথের যুগে। কলালক্ষ্মীর অর্ঘ্য এরা নিপুণহন্তে রচনা করেচেন, এঁরা নব্যবাংলার প্রাণস্পন্দন শুনতে পেয়েচোন, এদের লেখার মধ্যে ধ্বনিত হয়ে উঠেচে সে প্ৰাণস্পন্দনের সুর । যে মাটিতে স্নবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন, সে মাটি অঙ্গর অমর। ভবিষ্যতের বিপুল সম্ভাব্যতাকে তা নিজের মধ্যে বহন করঢ়ে। আর একটা কথা। সাহিত্য আমাদের পরিচিত করবে। নিগুঢ় বিশ্বন্ধহস্তের সঙ্গে, জীবনের চরমতম প্রশ্নগুলির সঙ্গে, দেবে আমাদের উদার, মৃত্যুব্জর দৃষ্টি, সকল সুখ-দুঃখের উৰ্দ্ধে বে। অসীম অবকাশ ও তৃপ্তি, আমাদিগকে পরিচিত করবে। সেই অবকাশের সঙ্গে-এও সাহিত্যের M BBB BDS S SsBBL D BDB KBBEB BBSLBB BDBBLBS KuB S SB SGKuS YLL বিশ্বদেবের কল্যাণতম মূৰ্ত্তি অধিষ্ঠিত, আমরা যেন দেবতার সেই জ্যোতিকে, দৈনন্দিন জীবনোন্তীৰ্ণ বৃহত্তর ভাষাকে সাহিত্যের মধ্য দিয়ে দর্শন করি। জীবনের দুখেয় দিনে যে সাহিত্যরসিক অচাঞ্চল থাকেন, শোকের মধ্যেও যিনি নিজেকে শান্ত রাখতে পারেন, দারিদ্র্যের মধ্যে যিনি নিজেকে হেয় জান করেন না, যাখা উচু করে দাড়াবার সাহল রাখেন-সাহিত্য পাঠ তারই সার্থক। সাহিত্য শুধু রসবিলাস নয়, জীবন সমস্যার সমাধানের গূঢ় ইন্বিত থাকবে। ষে সাহিত্যের মধ্যে তারই মধ্যে আমরা পাবো কলালক্ষ্মীর কল্যাণতম মূৰ্ত্তিটির সন্ধান। জাত লেখক যিনি, তিনি কখনো নিজের আদর্শ ত্যাগ কয়ে পরামধৰ্ম্মকে আশ্ৰয় করেন না, একথা ঠিকই । তার শিল্পীমানস যে রচনাম্বারা ভূঞ্চিলাত কয়বে না, সে দেখা তিনি কখনো লিখতে পারেন না। সাহিত্যেয় বিশাল উদাৱক্ষেত্রে সব শ্রেণীর লেখায় স্থান আছে, সব রকম মতবাদের স্থান আছে। দুর্গমুক লেবেলে আঁটা সাহিত্যই আসল সাহিত্য, আর সব অপাজেয়