পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Rot রামকে সে ভালো ভাবেই চেনে। বাইরে গিয়ে গাছের আড়ালে অপেক্ষা করতে লাগুলো । রাজারাম ছোট সাহেবকে বললেন-হুজুৰ, আপনি কাজ মাটি করলেন একেবারে। --6रून | --কাপ-ও জমি এক নম্বরের জমি। বিঘেতে সাড়ে তিনিমণ নীলের গুড়ো পড়তা হবে । ও জমি ছেড়ে দিতে আছে ? আর আপনি যদি আমন করে আশঙ্কাৱা স্থান প্রজাদের, তবে আমারে আর কি কেউ মানবে। —না কোনো কথা আমার কেউ শুনবো । ছোট সাহেব শিস দিতে দিতে চলে গেল। রাজারাম রাগে অভিমানে ফুলে উঠলেন। তখনি সদর-আমীন প্ৰসন্ন চকৃত্তির ঘরে গিয়ে কি পরামর্শ করলেন দুজনে । প্ৰসন্ন চকুত্তির বয়েস চল্লিশের ওপরে, বেশ কালো রং, দোহারা গড়ন, খুব বড় জোড়া গোঁফ আছে, চোখগুলো গোল গোল ভাটার মত। সকলে বলে অমান বদমাইশ লোক নীলকুঠির কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে আর দুটি নেই । হরকে নয় এবং নয়কে হয় করার ওস্তাদ। আমীনদের হাতে অনেক ক্ষম ঠাণ্ড দেওয়া আছে। সরল গ্ৰাম্য প্রজারা জরিপ কাৰ্য্যের জটিল কৰ্ম্মপ্রণালী কিছুই বোঝে না, রামের জমি শু্যামের ঘাড়ে এবং শুষ্ঠামের জমি যদুর ঘাড়ে চাপিয়ে মিথ্যে মাপ মেপে নীলের জমি বার করে নেওয়াই আমীনের কাজ। প্ৰজারা ভয় করে, সুতরাং ঘুষাও LESS SDtKLLS BgEE BBBLz BBBD DBBLLLD S STEED BDBB LLB uBDK LBOD টানতে টানতে বললে-এ রকম কৰি তো আমাদের কথা কেউ শোনবে না, ও দেওয়ানজি! DYztD BB T LLLDY S EEE0uYSK gD D DD DD DBS SBD es --বড় সায়েবকে বলুন কথাটা । -di gig sag ria attr divs --আপনি যাবেন, আবার কোড়া ? বড়সাহেব শিপটন বেজায় রাশি-ভারী জবরদস্তু-লোক। ছোটসাহেবের মন একটু উদার, লোকটা মাতাল কিনা ! সবাই তো তাই বলে। বড়সাহেবের কাছে যেতে সাহস হয় না। যার তার। কিন্তু মানের দ্বারে যেতে হোল রাজারামাকে। শিপটন মুখে বড় পাইপ টানাচেন বসে, হাতখনেক লম্বা পাইপ। কি সব কাগজপত্র দেখচোন ৷ তক্তপোশের মত প্ৰকাণ্ড একটা ভারী টেবিলের ধাৱে কঁঠাল কাঠের একটা বড় চেয়ার। সাতবেড়ের মুম্বাঝায় মিস্ত্রিকে দিয়ে টেবিল চেয়ার বন্ড সাহেবই তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, নিজের হাতে পালিশ আর রং করেচেন। টেবিলের একাধারে মোটা চামড়া-বাধানো একরাশ থাত । দেওয়ালে অনেকগুলো সাহেব-মোমের ছবি ; এই ঘরের এককোণে ফায়ার প্লেস, তেমন শীত না পড়লেও কাঠের মোটা মোটা ডালের আগুন মাঘোত্র শেষ পৰ্যন্ত জলে। বড়লাহেব চোখ তুলে দেওয়ানের দিকে চেয়ে বললেন-গুডমৰ্ণিং। রাজায়াম পূর্বে একবার সেলাম করেচেন, তখন সাহেব দেখতে পান নি ভেবে আর একবার লম্বা সেলাম করলেন। জিভ শুকিয়ে আসচে তেঁায়। ছোটসাহেবের মত দিলখোলা