পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থ পরিচয় 8eቄ সুইনহো স্ট্রীটে উঠায় মামা শ্বশুর গৃহে রাত্ৰিষাপন করেছিলেন। সেময় ইছামতী’ উপন্যাস নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক অন্তরঙ্গ আলোচনা হয়েছিল। সে সব কথা আজ আর বিশেষ মনে BS iDDDBB DB BDiD Di BBDDDDBB DB BiBiD BDD BB BDDY কোনো আলোচনা লিপিবদ্ধ করে রাখবার তাগিদ অনুভব করিনি। তাৰে এটুকু মনে আছে ইছামতী’ উপন্যাস রচনা করে তিনি খুবই তৃপ্তিলাভ করেছিলেন এবং বইটি সম্পর্কে উঠার খুবই উচ্চ ধারণা ছিল-ভঁর সঙ্গে কথা বলে সেদিন অন্তত আমার তাই মনে হয়েছিল। মনে আছে ওই ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়াৱী মাসেরই শেষে আমাকে তঁর স্বগ্রাম বারাকপুরে যেতে হয়েছিল। তখন বাঙালীর ব্যাঙ্কের খুবই দুরবস্থা। বিভূতিভূষণের কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীর অনুরোধে তঁকে এই খবরটা দিতে এবং সতর্ক করে দিতে আমাকে সে সময় বারাকপুর গ্রামে যেতে হয়েছিল। আমি যখন গ্রামে গিয়ে পেঁৗছলাম তখন বিকেল হুয়ে এসেছে। চারিদিকে সবুজের কানাকানি। গাছগাছালিতে নতুন পাতার সমারোহু। এমন এক মনোরম স্নিগ্ধ বিকেলে তঁায় বাষ্ঠীতে গিয়ে শুনলাম-তিনি ইছামতীর নদীর ধায়ে বেড়াতে গিয়েছেন। আমি আর বাড়ীতে অপেক্ষা করলাম না।--তক্ষুনি চলে গেলাম নদীর ধারে। দেখলাম। সেই পড়ন্ত বিকেলে বিভূতিভূষণ নদীর ধারের একটি গাছেল গুড়িতে বসে নিবিষ্ট মনে আকাশের নব নব মায়ারূপ দেখছেন। আমার আকস্মিক আগমনে তাকে খুব একটা বিচলিত হোতে দেখলাম না। পরে আমার কাছ থেকে যদিও সব কথা শুনেছিলেন। কিন্তু সেদিন আমার বারবারই মনে হয়েছিল তার সমস্ত মন পড়ে আছে ইছামতীর ওপর-তিনি যেন শুই সময়ে উপন্যাসটির কথাই ভাবছিলেন। অামার তখন নিতান্তই অল্প বয়স। কিন্তু আমার সঙ্গে তিনি সেদিন রাম কানাই কবিরাজ, প্ৰসন্ন আমিন, গয়া মেম, শিপটুন সাহেব প্রমুখ চরিত্রগুলির প্রসঙ্গে অনেকক্ষণ আলোচনা করেছিলেন । আমি উপলক্ষ্য ছিলাম মাত্র-প্রকৃত পক্ষে নিজের সঙ্গে নিজেই আলোচনা করছিলেন। মনে আছে, বারবারই তিনি রাম কানাই কবিরাজের YESBLLLLS DYD SS DDB YKS DBBBBBS KBBB DDBL TBBBB L BBS গেল। অামি তাকে একরকম জোর করেই বাড়ী নিয়ে গেলাম। “ইছামতী’ উপন্যাসটি রচনার পেছনে বিভূতিভূষণের অনেক দিনের সাধনা ও মনন রয়েছে। ষ্ঠার দিনলিপিতে ইছামতী’কে নিযে একটা কিছু লেখার ইচ্ছা বারবারই প্ৰকাশ পেয়েছে। বিভূতিভূষণের জন্মের ৪০-৫০ বছর আগে এই অঞ্চলে নীলবিদ্রোহ ব্যাপক আকার ধারণ করে । ইছামতী নদীর ধারে বিভূতিভূষণের স্বগ্রামেও নীলকুঠি ছিল। ১৯৫৮ সন পৰ্য্যস্তু তার ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। আমাদেরও তা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বৰ্ত্তমানে ওই অঞ্চলে উদ্ধান্তু উপনিবেশ গড়ে ওঠায় নীলকুঠিয় সেই ধ্বংসাবশেষ কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, “মোল্লাহাটি ইণ্ডিগো কনসার্ন তার স্বগ্রাম থেকে মাত্র ৫/৬ মাইল দূরে। দীনবন্ধু মিত্রের জন্মস্থান চৌবেরিয়া গ্রামও খুব কাছেই। আমার বাল্য ও কিশোর কালে দেখেছি-বিভূতিভূষণ যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গে ইছামতী’ উপন্যাসের উপাদান সংগ্ৰহ করছেন। ৫•৫০ বৎসর আগেকার ঘটনাবলী ও কিম্বদন্তী প্ৰাচীনাদের মুখ থেকে শুনছেন এবং নিজের