পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ বিভূতি-রচনাবলী এখানে ৰসে সে সন্তায় হাট করে। একটি মেয়ে লাউশাক বিক্রি করতে যাচ্ছে, নালু পাল বলশে-শাক কত ? --ম্যাট কাড়া । -দূর, ছ’ কড়া কালও কিনিচি। শাক আবার আটকড়া। কখনো বাপের জন্মে Vyf f | W os s’ta i --দিলি বড় ক্ষেতি হয়ে যায় যে-টাটকা শাক, এখুনি তুলি নিয়ে অ্যালাম। --দিয়ে যা রে বাপু) টাটকা শাক ছাড়া বাস আবার কে বেচে ? দুটি কচি লাউ মাথায় একটা ঝুড়িতে বসিরে একজন লোক যাচ্ছে। নালুর দৃষ্টি শাক থেকে সেদিকে চলে গেল । --বলি ও দবিরুন্ধি ভাই। শোনো শোনো ইন্দিকি --কি ? লাউ তুমি কিনতি পারব না । ছন্তাৱ দিতি পারবো না! --কত দাম ? —দু পয়সা এক একটা । দোকানের তাবৎ লোক দীর শুনে আশ্চৰ্য্যা হয়ে গেল । সকলেই ওর দিকে চাইতে লাগল। একজন বললে-ঠাট্টা করলে নাকি ? দবিরুদি মাথার লাউ নামিয়ে একজনের হাত থেকে কন্ধে নিয়ে হেসে বললে—ঠাট্ট করবো কেন ! মোরা ঠাট্টার যুগ্য নোক ? নালু হেসে বললে-কথাটা উল্টো বলে ফেললে। আমরা কি তোমার ঠাট্টার যুগি লোক ? আসল কথাটা এই হবে। এখন বল কত নেবা ? -- একপয়সা দর্শকড়া দিওঁ । --না, একপয়গা পাচকড়া নিও। আর জালিও না বাপু, ওই নিয়ে খুশি হও । দুটাে লাউই দিয়ে যাও । বুদ্ধ হরি নাপিত বসে তামাকের গুলি একটা পাতায় জঙো করছিল। তাকে জিজেস করলে ভূপৱ ঘোষা-ও কি হচ্চে ? --দাত মাজবো বেন বেলা। লাউ একটা কিনবো ভেৰেলাম তা দর দেখে কিনতি সাহস হোল না। এই মোল্লাহাটির হাটে জনসন সাহেবের আমলে আমন একটা লাউ ছ’কড়া দিয়ে কিনিচি। দর্শ কড়ার অমন দুটো লাউ পাওয়া যেত। আমার তখন নতুন বিয়ে হয়েছে, পার্শ্বনাথ ঘোষের বাড়ী ওর বড় ছেলের বৌভাতে একপাড়ি তরকারি এয়েল, একটাকা দােম পড়ল মোটমাটি। অমন লাউ তার মধ্যি পনেরো বিশটা ছিল । * পটল, কুমড়ো, বেগুন, ঝিঞে, থোড়, মোচা, পালংশাক, শসা তো অগুনতি । এখন সেই রকম একপাড়ি उम्रकांद्धि छूfकांग्र कभ नब्र ? অক্ৰীৱ জেলে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললে--নাঃ, মানুষের খাস্থ্যখাদক কেৱমেই অনাটন হয়ে শুঠছে। মানুষের খাবার দিন চলে যাচে, আমার খাবে কি ? এই সবাইপুরে দুধ ছিল ট্যাকায়