পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミや বিভূতি-রচনাবলী স্টেশন যখন আরও পাঁচ-ছ মাইল দূরে, তখন ভাগলপুরের ট্রেন বেরিয়ে গেল। হেমেন বললে, আর তাড়াতাড়ি করে হেঁটে কি লাভ, এসো কোথাও খাওয়ার ব্যবস্থা করা যাক। ট্রেন আবার সেই সন্ধ্যাবেলা । সামনে একটা ক্ষুদ্র বন্তি পাওয়া গেল, তার নাম গোকৰ্ণটোলা, সে যুগের নামের মতো শোনায় যেন । - একজন বৃদ্ধ লোক ইদারার পাড়ে স্বান করছে, তাকে আমরা বললুম, এখানে কিছু খাবার কিনতে পাওয়া যায় ? বুদ্ধ ঘড়ি-নেড়ে বললে—না। আমরা চলে যাচ্চি দেখে সে আবার আমাদের পিছু ডাকলে। যদি আমরা কিছু মনে না করি, কোথা থেকে আমরা আসচি, সে কি জিজ্ঞেস করতে পারে ? —কাজরা ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম থেকে। —পুণ্য করে আসচেন বলুন— —হয়তো । —বেশ ভালো লাগলো আপনাদের ? —চমৎকার । —ভাগলপুর থেকে বাংগালি বাবুরা আমার ছেলেবেলায় অনেক আসতেন আশ্রম দেখতে ৷ এখন আর আসেন না। আপনার আমুন, আমার বাড়িতে এবেলা থাকবেন । বড় খুশী হবে। কারো বাড়ি গিয়ে ওঠা আমাদের ইচ্ছে ছিল না—কিন্তু যখন এসব স্থানে দোকান-পসার নেই, অগত্যা রাজি না হয়ে উপায় কি। বস্তির মধ্যে যাবার আগ্রহ আমাদের কারো ছিল না । বিহারের এই সব গ্রাম্য বস্তি অত্যন্ত নোংরা, গায়ে গায়ে চালে চালে বসত, গ্রামের প্ল্যান নেই—দিগন্তবিস্তীর্ণ প্রাস্তরের মধ্যে একটুখানি জায়গা নিয়ে কতকগুলো প্রাণী পরস্পরকে জড়াজড়ি করে তাল পাকিয়ে আছে যেন। ফাক ফাক হয়ে ছড়িয়ে বাস করার বাধা কিছুই ছিল না, এ রকম অবাধ মুক্ত মাঠের মধ্যে জমির দামও বিশেষ আক্রা নয়—কিন্তু ওদের কুশিক্ষা ও সংস্কার ভার বিপক্ষে দাড়িয়েচে । কারো বাড়ির সামনে একটা ছোট বাগান পর্যন্ত নেই—একটা গাছ পর্যন্ত নেই। বিহারের এই গ্রাম্য বস্তিগুলি দেখলে বোঝা যায়—সত্যিই দেখলে বোঝা যায় যে, মামুষের সৌন্দর্যজ্ঞানহীনতা কত নিম্নস্তরে নামতে পাের। এক বাড়ির দেওয়ালে পাশের বাড়ি চালা তুলেচে– অর্থাৎ তিনখানা দেওয়ালে দুইটি পৃথক পৃথক গৃহস্থের বাড়ি। কেন যে ওরা এ রকম করে তা কে বলবে ? জায়গার কিছু অভাব আছে এই শহর থেকে বহুদূরে, পাড়াগায়ের মধ্যে, বুনো জায়গায় ? ठ नग्न । ७ब्रl cणथांभफ़ जांप्न मां, चाश कि करब्र रुजांब्र ब्रांथरउ श्ब्र छांटन नां-८कडे