পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89షి दिङ्कडि-ब्रळ्नावली আমি বললাম-এ মন্দির কতদিনের ? —অনেক দিনের বাবা, আমিই তো এখানে আছি পচিশ বছর। —কে স্থাপন করেছিল মন্দিরটি ? —দ্বারভাঙার মহারাজ তার জমিদারি বেড়াতে এসে এই জায়গাটি বড় পছন্দ করেন, শুনেচি তিনিই মন্দির করে দিয়েছিলেন। বিগ্রহের দেবোত্তর সম্পত্তি আছে, ওঁদেরই দান। —আয় কত হবে ? —বছরে তিন-চারশো টাকা, তবে ঠিকমতে আদায় হয় না সব বছর, লোকজনের প্রণামী ও মানত ইত্যাদির আয়েও কিছুটা ব্যয়নির্বাহ হয়। আমার জন্তে খাবার এল সরু আতপ চালের ভাত, আড়রের ডাল ও কি একটা তরকারি; এসব দিকে বাংলাদেশের মতো দু-তিন রকম আনাজ মিশিয়ে ব্যঞ্জন রন্ধনের পদ্ধতি প্রচলিত নেই—আলু তো শুধু আলুরই তরকারি, বেগুন তো শুধু বেগুনেরই তরকারি। সে তরকারি বাঙালীর মুখে ভালো লাগে না—কিন্তু ডাল এত চমৎকার রান্না হয় যে বাংলাদেশে কচিৎ তেমনটি মেলে। মোহাস্তজীর মুখে শুনলুম দুবেল প্রায় পঞ্চাশজন অতিথি-অভ্যাগত ও দরিদ্র গ্রাম্যলোক ঠাকুরের প্রসাদ পায়। দুটি বৃদ্ধশিষ্য আছে মোহাস্তজীর, তারাই রান্না করে দুবেলা। কোনো মেয়ে, তা সে যে-বয়সেরই হোক, আশ্রমে রাখবার নিয়ম নেই। বিহারের নির্জন পল্লীগ্রাস্তে পর্বতের এই মন্দির মনে একটি উজ্জল নবীনতা ও পরম শাস্তির স্বাক্ট করে ; এর স্বল্পায়োজনমাধুর্য মনকে এমন অভিভূত করে যে অনেক বৃহৎ আয়াস তার ত্রিসীমানায় পৌছুতে পারে না । সন্ধ্যার সময় যখন আশ্রম থেকে চলে আসি, তখন মোহাস্তজী আমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে অনেক দূর এলেন। উীর বিশেষ আগ্রহ দেখলাম মন্দিরের আয় বাড়ানোর দিকে—অবিশুি নিজের স্বার্থের জন্তে নয়। গ্রামের অনেক গরিব লোক স্থবেলা এখানে প্রসাদ পেয়ে থাকে, আরও কিছু আয় বাড়লে আরও বেশি লোককে খাওয়াতে পারতেন । মোহান্তজী প্রকৃতই অতি সদাশয় ব্যক্তি এবং বালকের মতো সরল। তার ধারণা এ ধরনের একটা সংকাজের কথায় যে কেউ টাকা দিতে রাজি হবে। শুধু মুখের কথা খাবার অপেক্ষা মাত্র। তার সরলতা দেখে আমার হালি পেল। বললুম—মোহান্তজী, আপনি একবার ভাগলপুরে আমুন না, আপনাকে দু-এক জায়গায় পাঠিয়ে দেবে, আপনি নিজেই বুঝবেন কে কেমন দিচ্চে । $ांश ऐं★#झिल । চারধারে ফাকা মাঠ, মাঝে মাঝে ছোট ছোট ঢিবির ওপর ক্ষুদ্র বন, দূরে দূরে সীসা গাছ —বিহারের সীসমূ গাছ একদিকে একটু ছেলে থাকে—অনেকগুলো থাকে এক সারিতে।