তালনবমী ૨8ઠે বামাচরণ চাকরি করতে গেল, সঙ্গে তার বৃদ্ধ পিতা গেলেন। কারণ বামাচরণের ম৷ বললেন, ছেলেকে অত দূর দেশে একলা তিনি পাঠাতে পারবেন না। আবার সেই অদৃষ্ট এস্ত্রে বাধা দিলে। মাস দুইয়ের মধ্যে বামাচরণের বাবা ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ী এলেন । শোনা গেল বামাচরণ চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসেছে । সেখানে নাকি থাকার কষ্ট, নদীর জল লোনা, কাছেই স্বন্দরবন, সন্ধ্যার পর বাঘের ভয়, জঙ্গল থেকে কাঠ ভেঙে এনে রান্না করতে হয়। সেখানে কি ওই কচি ছেলে থাকতে পারে ? বামাচরণের বাবা বললেন, “কোন ভয় নেই। আমি আবার যাচ্ছি সাহেবের কাছে, আর একটা ভালো জায়গায় চাকরি যাতে হয়।” কিন্তু এবার সাহেব বেজায় চটে গিয়েচে দেখা গেল, না জানিয়ে চাকরি ছেড়ে আসাতে । সাহেবের আরদালি বললে, সাহেবের এখন দেখা করবার সময় হবে না । বামাচরণের বাবা এতটা ভাবেন নি, তিনি হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে এলেন। কিন্তু সেই ধে তার মন কেমন ভেঙে গেল, এরপর আর বেশীদিন বঁাচেন নি । ক্রমে দিন চলে গেল। বামাচরণেরও বয়স হয়ে উঠলো। বাবা বেঁচে থাকতেই তার বিবাহ দিয়ে গিয়েছিলেন, দু একটি ছেলেপূলেও হ’ল । গ্রামের ষে সব ছোট ছোট ছেলেদের বামাচরণ গম্ভীর মুখে উপদেশ দিয়ে বেড়াতে, তাদের মধ্যে অনেকে এখন বিদেশে বেরিয়ে ভালো লেখা-পড়া শিখেচে, দু একজন ভালো চাকরিও পেয়েচে । বাপের পেনসনের টাকায় সংসার একরকম চলতো, বাপের মৃত্যুর পর বড় সংসার ঘাড়ে পড়াতে বামাচরণ চোখে অন্ধকার দেখলে । নিজের ছেলে-মেয়ে দু’ভিনটি, এক বিধবা ভগ্নী বাড়ীতে, তারও দু'তিনটি ছেলে-মেয়ে, বৃদ্ধ ম,—অনেকগুলি পুষি খেতে, চলে কিসে এতগুলি প্রাণীর ? 毫 毫 譬 এই সব কথাই সে ভাবছিল আজ নদীর ধারে বড়-ভাঙনের চটুকা গাছতলায় মাছ ধরতে বলে। বেলা পড়ে এসেচে, কচুরিপানার দামগুলো উজান মুখে চলেচে,—বোধ হয় জোয়ার এলো । # সামনের চটুকা গাছটায় রোদ রাঙা হয়ে আসচে। রোজ এইখানটিতে বামাচরণ মাছ ধরতে আসে। তাদের গ্রাম থেকে প্রায় দেড়মাইল দূরে নদীর বড় বাকের মুখে, জায়গাট চারিদিকে নির্জন । এখন তার মনে হয় খুলনার চাকরিটা ছেড়েও এসেচে আজ চোঁদ-পনরো বছর হবে। হঠাৎ নদীর উচু পাড়ের দিকে তার নজর পড়লো –ওটা কি ? পাড়টা সেখানে খুব উচু ও খাড়া—হাত ত্রিশ-চল্লিশ উচু সে যেখানে বসে আছে সেখান থেকে। পাড়ের খানিকটা ভেঙে পড়েচে বোধ হয় দু'একদিন হ’ল। সেই পাড়ের গায়ে একটা বড় কলসী পাড় ভাঙার দরুন বেরিয়ে পড়েচে—অৰ্দ্ধেকটা দেখা যাচ্ছে । বাকি অৰ্দ্ধেকটা মাটির মধ্যে পোতা । مه لاسدية ,ة .fa