পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইরামানিক জ্বলে °岛位 স্বশীল বললে—ষাতে তাতে হাত দিও না ; এ সব পাতাল-ঘরে সাপ থাকা বিচিত্র নয়। এই ঘোর অন্ধকারে পাতালপুরী বিষাক্ত সাপের রাজ্য হওয়াই বেশি সম্ভব । কিন্তু চারিদিকে ভাল করে টর্চ ফেলে দেখেও সাপের সদ্ধান পাওয়া গেল না। সনৎ ও জামাতুল্লা কুলুঙ্গি থেকে একটা কোঁটো বার করে দেখলে। ভেতরে বা আছে তা দেখে ওরা খুব উৎসাহিত হয়ে উঠল না। এ কি সম্ভব, এত বড় একটা প্রাচীন সাম্রাজের গুপ্ত ধনভাণ্ডারে এত কাও করে পাতালের মধ্যে ঘর খুঁড়ে তাতে পুরোনো হর্ভুকি রাখা হবে ? ওদের হতভম্ব মুখের চেহারা দেখে স্বশীল বললে—ক ওর মধ্যে ? সনৎ বললে—পুরোনো হর্ভুকি দাদা— —দূর পাগল—হুর্তুকি কী রে ? –এই দেখ– ' স্বশীল গোল-গোল ছোট ফলের মত জিনিস হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে বললে—আমি জানি নে এ কী জিনিস, কিন্তু যখন এত যত্ন করে একে রাখা হয়েছে, তখন এর দাম আছে। থলের মধ্যে নাও দু-এক বাক্স– সব কোঁটোগুলোর মধ্যে সেই পুরোনো হর্ভুকি ! ওরা দস্তুরমত হতাশ হয়ে পড়ল। এত কষ্ট করে পুরোনো হর্ভুকি সংগ্রহ করতে ওরা এতদূর আসে নি। হঠাৎ স্বশীল বলে উঠল—আমার একটা কথা মনে হয়েছে— সনৎ বললে—কী দাদা ? —এ জিনিস যাই হোক, এ-ই ছিল পুরোনো সাম্রাজ্যের প্রচলিত মুদ্রা–কারেন্সি—এই আমার স্থির বিশ্বাস। সঙ্গে নাও কিছু পুরোনো হর্ভুকি— জামাতুল্লা অনেক কৌশল করে একটা তামার জালা পাড়লে। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও তার ঢাকনি খোলা গেল না। জামাতুল্লা বিরক্ত হয়ে বললে—এ কি রিবিট করে এটে দেওয়া বাবুজি ? এ খুলবার হদিস পাচ্ছি নে যে— টানাটানি করতে গিয়ে একটা ঢাকনি খটাং করে খুলে গেল । সনৎ বললে—দেখো ওর মধ্যে থেকে আবার পুরোনো আমলকি না বার হয় দাদা— কিন্তু জালাটা উপুড় করে ঢাললে তার মধ্যে থেকে বেরুলো রাশি রাশি নানা রঙবেরঙের পাথর। দামী জিনিস বলে মনে হয় না। সাওতাল পরগণা অঞ্চলে যে-কোন নদীর ধারে এমনি ছড়ি অনেক পাওয়া যায়। জামাতুল্লা বললে—তোবা! তোবা! এসব কী চিজ, বাবুজি ? কতকগুলো কোঁটোর মধ্যে শনের মত সাদা জিনিসের গুলির মত। মনে হয় বহুকাল জাগে শনের ছুড়িগুলোতে কোন গন্ধগ্রব্য মাখানে ছিল—এখনও তার খুব মৃদ্ধ স্বগন্ধ শনের চুড়িগুলোর गंॉ८ब्र बांधोंtनीं। সনৎ বললে—দাদা, এটা তাদের ওষুধ-বিযুদ্ধ রাখার উড়িার ছিল না তো ?