পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত ువన —কাল থেকে তো দেবে না। আজকের দু’সের দুধ তো বালির চড়ার গড়াগড়ি খাক । তোর সর্দারি করবার দরকার কি বাপু ? দুটাে কাচা বাল তুলতে বললাম, তাই তোল। এমন সময়ে পটলের বাবা গঙ্গাচরণ চকত্তি বাড়ী ঢুকে বললে—কোথায় গেলে—এই মাছটা ধরো, দীক্ষ তীওর দিলে, বললে সাত-আটটা মাছ পেয়েচি—এটা ব্রাহ্মণের সেবায় লাগুক । বেশ বড় মাছটা— না ? এই পটল পড়া গেল, শুনো গেল, ও কি হচ্চে সকাল বেলা ? পটল মৃদ্ধ প্রতিবাদের নাকিম্বরে বললে—সকাল বেলা বুঝি ? এখন তো দুপুর হয়ে 凶阿一 —না, তা হোক, ব্রাহ্মণের ছেলে, বঁাশ-কঞ্চি নিয়ে থাকে না রাতদিন ? —ছাগল যে বেগুন গাছ খেয়ে যাচ্ছে ? —যাক গে খেয়ে । উঠে আয় ওখান থেকে। ব্রাহ্মণের ছেলে হয়ে কি কাপালীর ছেলের মত দা-কুড়ুল হাতে থাকবি দিনরাত ? অনঙ্গ বললে—কেন ছেলেটার পেছনে অমন করে লাগছ গা ? বেড়া বাধছে বাধুক না ? ছুটির দিন তো । গঙ্গাচরণ চক্কত্তি বললে—না, ওসব শিক্ষে ভাল না। ব্রাহ্মণের ছেলে ও রকম কি ভালো ? পটল নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে বেড়া বাধা রেখে উঠে এল । অনঙ্গ স্বামীকে বললে—ওগো, একবার হরিহরের হাটে যাও না ? —কেন ? —একবার দেখে এসো নতুন গুড় উঠলো কিনা। —সে তুমি ভেবে না, আমার গুড় কিনতে হবে না। এখান থেকেই পাওয়া যাবে। সবাই ভক্তি করে। বাইরে থেকে কে ডাকলে—চক্কত্তি মশায়, বাড়ী আছেন ? গঙ্গাচরণ বললে—কে ? রামলাল ? দাড়াও— আগম্ভক ম্যালেরিয়া রোগী, তার চেহারা দেখেই তা বোঝা যায়। গঙ্গাচরণ বাড়ীর বাইরে আসতেই সে নিজের ডান হাতখানা বাড়িয়ে দিয়ে বললে—একবার হাতখানা দেখুন তো ? গঙ্গাচরণ ধীরভাবে বললে—অমন করে হাত দেখে না। বসে, ঠাণ্ডা হও। হেঁটে এসেচ, নাড়ী চঞ্চল হবে যে। বাপু এ কোণল-কোপানো নয়। এসব ডাক্তার-বন্দির কাজ, বড় .ঠাগু মাথায় করতে হয়। কাল কেমন ছিলে ? —রাত্রিতে জয়-জর ভাব, শরীর যেন ভারী পাখর— —কি খেয়েছিলে ? —দুটাে ভাত খেয়েছিলাম চক্ষত্তি মশাই, আর কি খাবো বলুন, তা ভাত মুখে ভাল লাগলো না । o —যা ভেবেছি ভাই। ভাত খেলে কি বলে? জর সারবে কি করে ? -श्रांद्र १iरद मां ।