পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী سob& ওদের মধ্যে আর একজন পূর্বের লোকটিকে ধমক দিয়ে বললে—জানিস নে শুনিস নে কথা বলতে যাস—৬ই তো তোর দোষ। উনি জানেন না পূজো কত্তি তো কে করবে ? উনি নেকাপড়া জানা পণ্ডিত মানুষ । গঙ্গাচরণ ধীর ভাবে বললে—থাক থাক, ও ছেলেমানুষ বলেচে বলেচে— ইতিমধ্যে কলার পাত এল, একজন ইকো থেকে কন্ধে খুলে গঙ্গাচরণের হাতে দিতে যেতেই গঙ্গাচরণ বিস্মিত ভাবে বললে—কি ? —তামাক ইচ্ছে করুন— —তোমাদের উচ্ছিষ্ট কলকেতে আমি তামাক খাবো ? দলের যে লোকটি কস্কে এগিয়ে হাতে দিতে গিয়েছিল, সে দস্তুরমত অপ্রতিভ হোল । তখন ওদের মধ্যে সেই বিজ্ঞ লোকটি আবার ধমক দিয়ে বললে—একি পাচুঠাকুরকে পেয়েছিল তোরা, কাকে কি বলিস তার ঠিক নেই। দাড়ান, দাদাঠাকুর, আমার বাড়ীতে নতুন কলকে আড়ার টাঙানো আছে, নিয়ে আসি। গঙ্গাচরণ গম্ভীরভাবে বললে—হাত ধুয়ে এনে— উপস্থিত লোকগুলি ভক্তিতে গদগদ হয়ে পড়লো। হাত ধুয়ে নতুন কৰুেতে তামাক সাজতে হয় যার জন্তে, এমন ব্রাহ্মণ সত্যি কথা বলতে গেলে তারা কখনো দেখে নি। নতুন কন্ধে আনীত হোল, নতুন কলাপাতাও । গঙ্গাচরণের হাতে ভক্তিভাবে টাটকসাজা তামাক এগিয়ে দেওয়া হোল । গঙ্গাচরণ বললে—কথাবার্তা বলতে হয় বুঝে-মুজে বাপু আমি পুজো করতে জানি না-জানি তোমরা যে জিজ্ঞেস করলে—তোমরা এর কিছু বুঝবে ? বিজ্ঞ লোকটি তাচ্ছিল্যের স্বরে বললে—ইঃ, একদম অর্গ মুধু ! এই কথা বলে নিজের বিজ্ঞতা প্রমাণ করে সে গঙ্গাচরণের দিকে চেয়ে বললে—বাদ দিন ওদের কথা। ওর কাকে কি বলতে হয় জানে ? গঙ্গাচরণ বললে—সে কথা যাক গে। এখন তোমাদের এখানে আসার উদেশু কি छांप्नां ? দলের অন্ত লোকের কথা বলতে সাহস না করতে শুধু বিজ্ঞ লোকটিই এর উত্তরে বললে —কি বলুন দাদাঠাকুর ? —আমি একটা পাঠশালা খুলেটি নতুন গ্রামে। তোমাদের গ্রামের ছেলেগুলি সেখানে পাঠাতে হবে। —বেশ কথা দাদাঠাকুর। এ তো খুব ভাল—আমাদের ছেলেপিলেদের একটা হিল্পে হয় তা হলে— —খুব ভালো। সেজন্তে তো আমি এলাম তোমাদের কাছে। তুমি একবার সবাইকে বলো— লোকটি দলের দিকে চেয়ে বললে—শুনলে তো সবাই দাদাঠাকুর যা বললেন ? আপনি