পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশান-সংকেত । - - ररए দোকানে গিয়ে দাড়াতেই ইয়াসিনের দাদা ইয়াকুব বললে--তেল নেই পণ্ডিত মশাই— —নেই ? —আীজে না । —তেল আনে নি ? —আজ্ঞে পাওয়া যাচ্চে না । —সে কি কথা ? ক্রাসিন পাওয়া যাচ্চে না ? —আমাদের চালান আসে নি এবার একদম। শুনলাম নাকি মহকুমা হাকিমের কাছে দরখাস্ত করতে হবে চালান পাঠাবার আগে । —কবে আসতে পারে ? —আজ্ঞে কিছু ঠিক নেই— গঙ্গাচরণ বোতল হাতে বেরিয়ে আসচে, ইয়াকুব স্বর নিচু করে বললে—বাবু, এই বেলা কিছু মুন আর কিছু চাল কিনে রাখুন—ও দুটো জিনিস যদি ঘরে থাকে, তা হলে কষ্টশ্রেষ্ট করে আধপেট থেয়েও চলবে ! —কেন, ও দুটো জিনিসও কি পাওয়া যাবে না নাকি ? —পণ্ডিত মশাই, সাবধানের মার নেই, আমরা হোলাম ব্যবসাদার মানুষ, সব দিকে নজর রেখে চলতি হয় কিনা ? কে জানে কি হয় মশাই । গঙ্গাচরণ ভাবতে ভাবতে বাড়ী চলে এসে স্ত্রীকে বললে—আজ একটি আশ্চর্ষ্যি কাণ্ড দেখলাম—- —কি গা ? —পয়সা হোলেও জিনিস মেলে না এই প্রথম দেখলাম। কোনো দোকানেই নেই— আরও একটি কথা বললে দে কানদার । চালও কিনে রাখতে হবে নাকি । অনঙ্গ-বেী তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বললে—দূর! রেখে দাও ওদের সব গাঁজাখুরি কথা। চাল পাওয়া যাবে না, মুন পাওয়া যাবে না, তবে দুনিয়া পৃথিমে লোকে বাচতে পারে ককখনো ? কি খাবে তখন ? —যা দেবে ? অনঙ্গ টাটকা-ভাজা মুড়ি গাওয়া ঘিতে মেখে নিয়ে এসে দিলে—তার সঙ্গে শসা কুচোনো। বললে—একটু চিনি দেবো, ওর সঙ্গে মেখে খাবে ? —না, চিনি আমার ভাল লাগে না । হাবু কোথায় ? —বাড়ী নেই। বিশ্বেস মশায়ের নাতির সঙ্গে ওর খুব ভাব হয়েচে কিনা ? ডেকে নিয়ে গেল এসে । বড় মানুষের নাতির সঙ্গে ভাব থাকা ভালো । সময়ে অসময়ে দুটো জিনিস চাইলেও পাওয়া যাবে। সেজন্তে আমিও যেতে বারণ করি নি। —এসে দুটাে মুড়ি খাও আমার সঙ্গে। অনঙ্গ-বে। সলজ্জ হেসে বললে—আহ রস যে উথলে উঠচে । আজ বাদে কাল যে बेि. ब्र. e-०s