পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९b”8 বিভূতি-রচনাবলী ক্ষেত্র কণপালী বললে—আটা আছে। —আছে, বারো আনা করে সের। -धिझब्रि ? —দেড টাকা সের। সন্দের পর বিক্রি হবে। গঙ্গাচরণ হিসেব করে দেখলে কাছে যা টাকা আছে, তাতে বিশেষ কিছু কেন হবে না। পারমিট পেলে সস্তার কিছু বেশি জিনিস পাওয়া যেতে পারে। আবার ওরা দুজনে সাপ্লাই অফিসারের আপিসে এল, তখন ভিড আরও বেডেচে, কিন্তু জানলা খোলে নি । একজন বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ বসে আছেন । গঙ্গাচরণ বিডি খাওয়ার জন্ত তার কাছে গেল। জিজ্ঞেস করলে—আপনার নিবাস কোথায় ? —মালিপোত । —সে তো অনেক দূর। কি করে এলেন ? —হেঁটে এলাম, আবার কিসে আসবো ? গরীব লোক, এ বাজারে নৌকো কি গাড়ীভাডা করে আসবার খ্যামত আছে ? —কি নেবেন ? —কিছু খাবার নেই ঘরে। আমার বিধবা পিসি ঘরে, তার একাদশী আসচে। দশমীর দিন রাত্তিরে থানা রুটি কবেও তো খাবেন। তাই আটা নিতে এসেচি। —চাল পাচ্ছেন ওদিকে ? —পাবে না কেন, পাওয়া যায়। দুটাকা কাঠা—তাও অনেক খুঁজে তবে নিতে হবে। খাওয়া হয় না মাঝে মাঝে । এই সময় জানল খোলার শব্দ হোতেই লোকের ভিড় সেই দিকেই ছুটলো। গঙ্গাচরণ বৃদ্ধের হাত ধরে বললে—শীগগির আমুন, এর পর জায়গা পাবেন না— তাও এরা পিছিয়ে পড়ে গেল। অতগুলো মরীয় লোকের সঙ্গে দৌড়পাল্লায় প্রতিযোগিতা করা এদের পক্ষে সম্ভব হোল না। এদের পক্ষে বেশির ভাগ এসেচে আট যোগাড করতে । একজনকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল সে দুপুরবেলা চাল যোগাড় না করতে পেরে উপবাসে আছে, একটু আটা নিয়ে গেলে তবে তার দিনের আহার পেটে পড়বে। তারা মরীয়া হবে না তো মরীয়া হবে কে ? আরও এক ঘণ্টা কেটে গেল। তারপর গঙ্গাচরণ জানলার সামনে দাডাবার জায়গা পেলে । সাপ্লাই অফিসার টান টানা কড সুরে জিজ্ঞেস করলেন—কি ? গঙ্গাচরণের ভরসা ছিল তার চেহারার দিকে চাইলে সাপ্লাই অফিসার ভদ্রলোক বা ব্রাঙ্গণ বলে খাতির করবে। কিন্তু তাতে নিরাশ হতে হোল, কারণ হাকিম চোখ তুলে তার দিকে চাইলেনই না। র্তার চোখ টেবিলের ওপরকার কাগজের দিকে । হাতে কলের কলম, অর্থাৎ cय कणभ कांणि८ङ cछांबां८नांब्र नब्रकांग्न झग्न नां ।