পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&bbr. বিভূতি-রচনাবলী -এলাম । —ও, কি মনে করে ? —ম ভাল আছেন ? --ह । —সস্তানাদি কিছু হোল ? —হয়েচে । গঙ্গাচরণ তখনও ভাবচে, দুর্গ ভট্টচাযের মতলবখানা কি। ভট চাষ কি বাড়ী যেতে চাইবে নাকি ? কি মুশকিলেই সে পড়েচে। কত বড় লোক আছে দেশে, তাদের বাড়ীতে যা না কেন বাপু । আমি নিজে পাইনে খেতে, কোনো রকমে ছেলে দুটোর আর রোগ বউটার জন্তে দুটি চাল আটা কত কষ্টে যোগাড় করে আনি, ভগবান তা জানেন । থাকে থাকে, এ ভ্যাজাল কোথা থেকে এসে জোটে তার মধ্যে । দুর্গ একটা ছেলেকে উঠিয়ে তার কেরোসিন কাঠের বাক্সটার ওপর বসলো, তারপর গলার উড়নিখানা গলা থেকে খুলে হাটুর ওপর রেখে বললে—একটু জল খাওয়াতে— —হঁ্যা হ্যা। ওরে পটলা, টিউবওয়েল থেকে জল নিয়ে আয় দিকি ঘটিটা মেজে। —একটা কথা আছে আপনার সঙ্গে, বলচি—জলট খাই । তেষ্টায় জিব শুকিয়ে গিয়েচে । জলপান করে দুর্গ পণ্ডিত একটু সুস্থ হয়ে বললে—আঃ! কিছু দুজনেই চুপচাপ। তারপর দুর্গাই প্রথম বললে—বললে—বড় বিপদে পড়েচি, পণ্ডিতমশাই— –কি ? —এই মন্বস্তর, তার ওপর চাকরিটা গেল । —পাঠশালার চাকরি ? —ই্যা মশাই ৷ হয়েচে কি, আমি আজ ন’টি বছর কামদেবপুর পাঠশালায় সেকেন পণ্ডিতি করচি, মাইনে আগে ছিল সাড়ে তিন টাকা, এখন দেয় পাচ টাকা । তা মশাই গোয়াল হোল ইস্কুলের সেক্রেটারি। আজ পাচ মাস হোল কোথা থেকে এক গোয়ালার ছেলে জুটিয়ে এনে তাকে দিয়েচে চাকরি। সে করলে কি মশাই দাৰ্জিলিং গেল বেড়াতে । সেখান থেকে এসে উন্মাদ পাগল হয়ে গেল— —কেন কেন ? —ত কি করে জানবো মশাই। কোথাকার নাকি ফটোগেরপ তুলতে গিয়েছিল, সায়েবে কি খাইয়ে দেয়—এই তো শুনতে পাই। মশাই, তুমি পাও পাচ টাকা মাইনে, তোমার সেই দাৰ্জিলিং—দাঞ্জিলিং-এ যাওয়ার কি দরকার ? সেখানে সায়েব-সুবোদের জায়গা। বাঙালীরা সেখানে গেলে পাগল করে দেয় ওষুধ খাইয়ে। সাধে কি আর বলে— —সে যাক, আসল কথাটা কি সংক্ষেপে বলুন—