পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৮ বিভূতি-রচনাবলী কথাটার শেষের দিকে রুদ্ধ-কান্নায় ওরা গলার স্বর আটকে গেল। আমিও চিঠিখানা নিয়ে সে স্থান ত্যাগ করলুম। পথে দেখি পূজারী-ঠাকুর একটা শালপাতার ঠোঙা হাতে আসছে, আমাদের দেখে দাত বার করে বললে—“হে হেঁ, কি হ’ল দারোগাবাৰু? যা বলেচি, তাই হ'ল কিনা ? তা এখুনি চললেন যে . ... ? একটু যৎসামান্ত মিষ্টিমুখ— ওর ওপর রাগ কি হিংসে—কি হ’ল জানিনে । তার সে সব আপ্যারিতের কথা রূঢ়ভাবে মাঝ পথেই থামিয়ে দিয়ে বললুম-ওসব থাক। একটা কথা বলি শোন ঠাকুর, কাল থানার যেয়ে সকাল বেলা। একটা তক্তাপোশ সস্তায় নীলাম হবে। দাম তুমি যখন হয় দিও, কাল গিয়ে নিয়ে এসে সেখান । বুঝলে ? পুজারী-ঠাকুর অবিপ্তি নিজের কাজ ভোলেনি। পরদিন সকালে এসে খাটখানা, নিয়ে গিয়েছিল। এইখানেই আমার গল্পের শেষ । আমরা এতক্ষণ একমনে শুনছিলুম। রামশরণবাৰু চুপ করলে আমরা একজোটে জিজ্ঞেস করলুম—আপনি আর কখনো সে মেয়েটিকে দেখতে যান নি ?. রামশরণবাৰু বললেন—আর কিছুদিন আলমপুরে থাকলে হয়তো যেতুম। কিন্তু এর অল্পদিনের মধ্যে বদলির হুকুম পেয়ে আলমপুর ছাড়তে হ’ল । তারপরে সে মেয়েটির আর কোন খবর জানি না । মেয়েটি কেন মায়ের সঙ্গে যেতে চাইলে না, আমি আজও বুঝতে পারিনে । খুড়ীমা খুব বর্ষ নামিয়াছে। দিনরাত টিপটিপ বৃষ্টি । আমি চণ্ডীমণ্ডপের দাওয়ায় বসিয়া অঙ্ক কষিতেছি। বেল প্রায় দুপুর হইতে চলিল । বর্ধ-বাদল না হইলে বিনোদমাস্টারের কাছে ছুটি পাওয়া যাইত। কিন্তু কি বাদলাই নামিয়াছে আজি তিন দিন হইতে আমার ভাগ্যে । এমন সময়ে কোথা হইতে একটা ময়ল-কাপড়-পরা লোক আসিয়া চওঁীমগুপের সামনের উঠানে দাড়াইল এবং আমার দিকে চাহিয়া ফিক করিয়া হাসিল। আজও মনে আছে— লোকটার গারে একটা ময়ল চিটাচিট কামিজ, খালি পা, রুক্ষচুল। বয়স বুঝিবার উপায় নাই, অন্ততঃ আমার পক্ষে । আমি লোকটাকে আর কখনও দেখি নাই, কারণ বাবা-মা এখানে থাকিলেও, দিদিমা আমার ছাড়িয়া থাকিতে পারেন না বলিয়া এতদিন ছিলাম মামার বাড়ীতেই। এ-গ্রামে श्रांभि श्रांगिब्रांझेि cदनै निन नब्र । यर्थन छणिब्रां श्रिीब्रांश्लिांभ उथन श्रांयांब्र दबग शांक छ्-दइब्र !