পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ বিভূতি-রচনাবলী লজ্জা ও সঙ্কোচের হসি হাসিয়া বলিলাম-বাণীব্রত— তিনি বলিলেন—বাঃ, বেশ সুন্দর নাম। যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনিই নাম। পড় তো ? বেশ, বেশ । এখানে এস খেলা করতে রোজ। আসবে ? সেরাত্রে আনন্দে আমার বোধ হয় ভালো করিয়া ঘুম হয় নাই। যেন কোন স্বর্গের দেবী কি রূপকথার রাজকুমারী যাচিয়া আমার সঙ্গে ভাব করিয়াছেন। অমন রূপ কি মাহুষের হয়। ইহার পরদিন হইতে পরেশ-কাকাদের বাড়ী রোজ যাইতে আরম্ভ করিলাম, দিন নাই, স্থপুর নাই, সকাল নাই। কি ভাবই হইয়া গেল খুড়ীমার সঙ্গে ! আমার বয়স তখন বারো, খুড়ীমার কত বয়স বুঝিতাম না, এখন মনে হয় তার বয়স ছিল আঠার-উনিশ । বিবাহের পর-বৎসর গ্রামে খবর আসিল পরেশ-কাক বিদেশে চাকুরিস্থলে আবার পাগল হইয়া গিয়াছেন। খুড়ীমা তখন মাস-দুই হইল বাপের বাড়ী। পাগল হইবার সংবাদ শুনিয়া বাপের সঙ্গে তিনি স্বামীর কৰ্ম্মস্থানে গিয়াছিলেন, কিন্তু গিয়া দেখেন পরেশ-কাকাকে পাগলাগারদে পাঠান হইয়াছে। খুড়ীমার সঙ্গে তার দেখা হয় নাই, খুড়ীমার বাবা মেয়েকে পাগলাগারদে লইয়া গিয়া জামাইয়ের সঙ্গে দেখা করাইয়া দিবার আগ্রহ প্রকাশ করেন নাই। সব ব্যাপার মিটিয়া গেলে তিনি মেয়েকে লইয়া ফিরিলেন । পরেশ-কাকার বড় ভ্রাতৃবধূ তখন ছেলেমেয়ে লইয়া গ্রামের বাড়ীতেই ছিলেন, তিনি পত্র লিখিয়া পরেশ-কাকার বেীকে মাস-দুই পরে আনাইলেন। খুড়ীমার আসিবার সংবাদ পাইয়া সকালে উঠিয়াই চুটিয়া দেখা করিতে গেলাম। তার মুখে ও চেহারায় দুঃখের কোন চিহ্ন দেখিলাম না, তেমনই হাসি-হাসি মুখ, মুখশ্ৰী তেমনি সুকুমার, বিদ্যুতের মতে রং এতটুকু মান হয় নাই। কি স্নেহ ও আদরের দৃষ্টি তার চোখে, আমি পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম করিতেই তিনি আমার চিবুকে হাত দিয়া হাসিমুখে বলিলেন—এই যে পাবু, কেমন আছ ? একটু রোগ দেখছি যে ! আমি উত্তরে হাসিয়া খুড়ীমার সামনে মেজের উপরে বসিয়া পড়িলাম। বলিলাম— আপনি ভালো ছিলেন খুড়ীমা ? খুড়ীমা বলিলেন—আমার আর ভালো থাকাথাকি, তুমিও যেমন পাৰু! भtबन-काक शांश्रण श्ब्रांरझन ८ग-कक्ष खांविग्ना भूफ़ौशांइ छछ छूःथ इहेण । श्रडांत्रिनी খুড়ীমা ! খুড়ীমা বলিলেন—কাছে সরে এসে বসো পাৰু। পাবু আমাকে বড় ভালোবাস—ন ? ঘাড় নাড়ির স্বীকার করিলাম খুব ভালোবাসি। —আমিও কলকাতায় থাকতে পাবুর কথা বড় ভাবি ! পাবু, এ গারে তোর মতো ভালোবালে না কেউ আমায় । লজ্জায় রাঙা হইয়া হাসিমুখে চুপ করিয়া থাকিতাম। তেরো বছরের ছেলে কি কথাই बां जांनि !