পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬৪ বিভূতি-রচনাবলী ভগবান আমার যেন ক্ষমা করেন—এই মিথ্যে বলবার জঙ্গে। আমি কেমন ক'রে ওর মুখের উপর বলবো যে, ওর লেখার মধ্যে আমি কিছুই পাইনি-ওর গল্প, কবিতা নিতান্ত বাজে হয়েচে, বিশেষ কোনো ক্ষমতার অঙ্কুরও তার লেখার মধ্যে কোথাও নেই! মিথ্য যেখানে মানুষকে মুখী করে, সেখানে নিষ্ঠুর সত্য বলে কিইবা লাভ ? বড়বাবুর বাহাদুরি আপিসে মাঝে মাঝে নানা পার্টি আসিয়া গোলঞ্চ লভা ও গাছ-গাছড বিক্রি করিয়া যাইত । ইহাদের নাম লেখা আছে বটে, কিন্তু অনেকেরই ঠিকানা কিছু লেখা থাকে না ! এখানে ছোট-খাটাে কাজকৰ্ম্ম সবই হয় নগদ-বডবাবুর এসিস্ট্যান্ট, সে সব পাওনাদারকে সাহেব তো দূরের কথা, বড বাবুর কাছে পৰ্য্যন্ত যাইতে দেয় না। হরিপদ এবার নগু দালালের হাত দিয়া জিনিস না বেচিয়া নিজেই সরাসরি কোম্পানীর অীপিসে লইয়া গিয়া নামাইয়াছিল। যে পাডাগায়ে হরিপদ থাকে, গাছ-গাছড়ার সেখানে অভাব নাই। নগু দালালের পরামর্শেই সে এই সব গাছ-গাছড সংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করে। তাহাকে সে সব চিনাইয়াছিল শাস্তি কবিরাজ । মনপিছু দুটাকা লরি ভাডা দিয়া বার বার মাল আনিয়া পোষায় না। হরিপদ সেজন্ত এক বছর ধরিয়া বিস্তর গাছপালা মজুদ করিতেছিল। নগু দালাল ইহার মধ্যে দু'তিনবার সন্ধান লইয়াছেও। —ণ্ডহে হরিপদ, মালগুলো এবার দেখচি তুমি পচাবে। আপাং শিমুলের শেকড়, শ্বেতপপটি এ সব ছ'মাসের বেশি থাকে না, পচে' নষ্ট হয়ে যায়। তখন দু’খানা করেও বিক্রি হবে না। নিয়ে এসো হে, নিয়ে এসে ফেল কলকাতায়— । কিন্তু হরিপদ খুব কাচা ছেলে নয়। বেলেঘাটার মুখুয্যে মশায়ের আড়তে সে আর ধাইতে প্রস্তুত নয়। অবিশুি এ কথা ঠিক যে, তাহার থাকিবার ও খাইবার কোনো কষ্ট কলিকাতায় হয় না। আজকাল আডতে উঠিলেই হইল। আডতের রাধুনী বামুন তাহাকে চিনে, তাহাকে গিয়া বলিলেই হইল—ও কুবের ঠাকুর । এখানে দুটো খাব এ বেলী । /উহারা যতই থাতির করুক, এবার হরিপদ বেলেঘাটার আড়তে গিয়া উঠে নাই। নও দালাল তো জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরিয়া গাছ-গাছড়া সংগ্রহ করে, তাহাকে সে লাভের একটা মোট অংশ কেন দিতে যাইবে ? কলিকাতায় এবার আসিয়া সে শুনিল, হিন্দুস্থান কেমিক্যাল কোম্পানী শীতের মরসুমে ७हे ब्रकभ ग्रंiछ्-*jांछ्छ किनिब्रां शां८क ।