পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ१० বিভূতি-রচনাবলী ভুল ধরা পড়ে। তাঁহাকে খুজিয়া বাহির করিবার যথেষ্ট চেষ্টা করা হইয়াছিল, কিন্তু পায়৷ বায় নাই। যে কেরানী ভুল করিয়াছিল, তাহার মাহিন হইতে প্রতি মাসে ত্রিশ টাকা করিয়া কাটিয়া লওয়া হইতেছে এবং পূজার বোনাস সে কখনো পাইবে না, এই বন্দোবস্ত হইয়াছিল। আজ দু'মাস আড়াই মাস পরে সেই পলাতক লোকটি টাকা ফেরত দিতে আসিয়াছে ! ব্যাপারখানা কি ? বড়বাবু এমন কাও কখনো তাহার বাহান্ন বছর বয়সে দেখেন নাই । জিজ্ঞাসা করিলেন, পুরো টাকাই দেবেন তো ? নিয়ে এসেচেন সব ? তা এতদিন আসেন নি কেন ? হরিপদ বলিল, যখন টাকাটা এখান থেকে নিয়ে গেলুম, তখন বুঝতে পারিনি যে এত টাকা নিয়ে যাচ্ছি। ধরা পডল অনেক পরে বাড়ী গিয়ে । তারপর লোভ প্রবল হয়ে উঠল বড়বাৰু, আমরা গরীব লোক, এতগুলো টাকার লোভ সামলানো সোজা কথা তো নয় ! বড়বাবু বলিলেন—বেশ, টাকা দিয়ে যান। টাকা গুনিয়া দিয়া হরিপদ চলিয়া গেল। আপিসে ইতিমধ্যে অনেকেই কথাটা শুনিয়াছে, তাহারা বড়বাবুর কাছে কথাটা শুনিতে আসিল। এতদিন পরে টাকা ফেরত দিতে আসিল কি ব্যাপার? বড়বাৰু মৃদ্ধ হাসিয়া বলিলেন-ই-হুঁ-ভোমরা তো জানো না । কোম্পানীর জন্তে কত্ত খেটে মরি, নামও নেই এ আপিসে, যশও নেই। বাছাধন আজ এতকাল পরে এসেচেন বোধ হয় মাল বিক্রি করতে। ভেবেচেন এতদিনে আর চিনতে পারবে না। জিজ্ঞেস করলুম, আপনার নামটি কি ? আপনি একবার জিনিস বেচতে এসে বেণী পেমেন্ট নিয়ে গিয়েছিলেন ন ? আমি ওকে বিল সই করতে দেখেচি–চেহারা দেখেই ভাবলুম, এ ঠিক সেই লোক । যেমন বলেচি, বাছাধনের মুখটি চুন। বললুম, টাকা ফেলো, নইলে পুলিশে দেব। ব্যবসাদার লোক, পাওনা টাকা আদায় করেছিল বোধ হয়। সঙ্গে টাকাও ছিল, তা থেকে ভরে ভয়ে অামাদের টাকাটা বের করে দিলে। যাবে কোথায় ? কত বড় ফাদে পা দিয়েচে, জানে না। वज्रदांबून अब्र-छब्रकांब्र *क्लिब c*ण । অন্নপ্রাশন খোকার অবস্থা শেষ রাত হইতে ভালো নয় । কি যে অমুখ তা-ই কি ভালো করিয়া ঠিক হইল ? জন্তিপুরের সদানন্দ নাপিত এ সব এামে কবিরাজী করে, ভালো কবিরাজ বলিয়া পসারও আছে। সে বলিয়াছিল, সারিপাতিক জর। মহেশ ভাক্তারের কম্পাউণ্ডার একটাক ভিজিটে রোগী দেখে, সে বলিয়াছিল,