পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭ના বিভূতি-রচনাবলী চিটমিটি যাবার পথে মোটর পাহাড়-জঙ্গলের পথে একে বেঁকে নামতে লাগলো বামিয়াবুরু থেকে। আমরা চলেচি-চলেচি-ক্রমাগত চড়াই-উতরাইয়ের পথে। এক জায়গায় পাহাড়ের নীচে বঁ-দিকের উপত্যকায় বন-বিভাগের "রক্ষিত ভূমি’– এর রহস্য হচ্ছে এই যে, এই জায়গাতে প্রকৃতিকে স্বযোগ দেওয়া হয়েছে ইচ্ছামত বাড়তে। প্রকৃতির উপর কলম চালানো হয় নি। তাই এখানে বড় বড় ৮১ ফুট পরিধি বিশিষ্ট শালগাছ ধথেষ্ট—মোট মোট লতায় লতায় জডাঞ্জডি, গাছপালার নীচেও দুর্তেস্ত জঙ্গল ছোট গাছগাছালির । আমরা পাহাড়ের গায়ে আবার দেখলুম খনিজ লবণের স্তর, বন্য জানোয়ার ছাড়া এ হুন কেউ ব্যবহার করে না। হরিণ, ভালুক, বাঘ এই তিনটি জন্তু বিশেষ করে। হাতীর চুন খাওয়া দরকার বিবেচনা করে না নাকি, কেন তা জানিন জগুগামী সুৰ্যের রাঙা আলো যখন বাকাভাবে এসে পড়ে এই খনিজ লবণেব স্তরে, শাল অরণ্যে সন্ধাঁর ছায় নেমে আসে, তখন লে দলে দলে মৃগযুথ আসে নির্জনে লবণেক স্তর চাটতে, তাদের সে আনন্মলীলার ছবি হয়তো কবি ভবভূতি আঁকতে পারতেন যিনি প্রস্রবণ-পৰ্ব্বর্তের গম্ভীর মহিমা বর্ণনা করেচেন উত্তর রামচরিতে। অতীত দিনের ভারতবর্ষের কি অদ্ভূত কপ কল্পনায় ভেসে ওঠে এই পৰ্ব্বভূখণ্যের মধ্যে দাড়ালে। হরদয়াল লিংকে বললাম—আপনারা এখান থেকে মুন বিক্রী করেন না ? —না। ওটা বন্যজন্তুদের ব্যবহাবের জন্যেই । —গবর্নমেণ্টের বন্দোবস্ত ? —নিশ্চয় । এখানে শিকার করা নিষেধ । —কি রকম ? —পূর্বে এরকম হয়েচে । হরিণ মুন খেতে এসেচে দলে দলে, শিকারীদের মহেন্দ্রস্থযোগ। 'লুকিয়ে থেকে গুলি করেছে। --নিষ্ঠুরতার কাজ বই কি । —এখন বনের সমস্ত salt lickএ গবর্নমেন্টের খরদৃষ্টি। বন্দুক নিয়ে যাবার জো নেই। মোটর থামানে হোল। মিঃ সিং বললেন—চলুন, দেখবেন কত জানোয়ারের পায়ের wfo— যেখানে পাহাড়ের গায়ে salt lick তার নীচে জানোয়ারদের চরবার স্ববিধের জন্তে বা দাড়িয়ে মুনের স্তর চাটবার জন্তে বন-বিভাগ থেকে পাথর কেটে সমতল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মরম সাদা মাটিতে সত্যিই অনেক জন্তুর পদচিহ্ন। , হো-জাতীয় ফরেস্ট গার্ড বললেন –হরিণের পায়ের দাগই বেশি, ভালুকেরও আছে— ८कांद्धद्वांद्र वां८छ्--- - আমি বললাম—কোঙয়া কি ? মিঃ সিং বললেন-বাকিং ডিয়ার