পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

988 বিভূতি-রচনাবলী —পোংলা কোথায় ? —ষখনকার কথা বলছি, তখন আমিও জানতাম না। শুধু এইটুকু আমায় বলে দেওয়া হয়েছিল, বেঙ্গল নাগপুর রেলপথের মনোহরপুর স্টেশনে নেমে সেখানে যেতে হয়। -कङ भांझेल ? — ষোল-সতেরো মাইল । —রাস্ত ভালো ? —সেইটাই আমার গল্পের বিষয়। এ গল্প প্রধানত রাস্তার গল্প। আজ এই অন্ধকার রাত্রে বনের প/েল কৰা বড় বেশি করে মনে হচ্ছে। শুমুন তারপর। মনোহরপুর স্টেশনে নেমে ওখানকার বন-বিভাগের বাংলোতে লোকজনের সঙ্গে দেখা করলাম। তাদেরই মুখে শুনলাম আমান্ত গন্তব্যস্থান এখান থেকে ১৫১৬ মাইল দূর। •বেজ তিনটা আমার সঙ্গে সাইকেল ছিল, দেশ থেকে এক পাচক ঠাকুরও এনেছিলাম । আমি ভাবলাম, এ আর এমন বেশি দূত্ন কি! সাইকেলে চট করে চলে যাওয়া যাবে। কিন্তু পরে ভেবে দেখলুম বাধা হোল"পাচক ঠাকুর। সে পথ চেনে না। এক এ পথে যেতে পারবে না। অগত্য আমরা কুলির মাথায় মোট চাপিয়ে পদব্রজে কইনা নদী পার হয়ে ওপারে গেলাম। দূরে দূরে পাহাড় দেখা যাচ্ছে, প্রাকৃতিক দৃপ্ত চিরকালই ভালবাসি, নীল পাহাড়শ্রেণী দেখে মনে বড় আনন্দ. হেলি । ওখান থেকে যেতে পথের ধীরে ধারে দু-দশটি শালগাছ, মাঝে মাঝে ছোটখাটো পাহাড়, তার ওপর গাছপালা। আমার বন সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই পূৰ্ব্বেই বলেছি। বিষ্ক্যাচলে বন দেখে ভেবেছিলাম এই বুঝি নিবিড় অরণ্য। এর চেয়ে আর কি বড় বন হতে পারে ? আমার দেশ আরা জেলায়, বন বলে কোনো জিনিস নেই, শুধু ক্ষেত-খামার আর চষা জমি। জমির বড় দাম, এতটুকু পড়তে পায় না। श्रांभि दलजांभ-कङ क्षांश छभिन्न ? —পাঁচ-ছশো টাকা বিধে। তাও ভাববেন না খুব ভাল জমি। —তারপর ? — তারপর মাইল পাচেক পথ এসে কোল-বোংসা বলে একটা ছোট গ্রাম। হো-জাতীয় অধিবাসীদের বাস। সেখানে এসে কুলির আর যেতে চাইলে না। তারা বললে সে গ্রামেই তাদের বাড়ী। আর এক পাও তার নড়বে না, তাদের মজুরি চুকিয়ে দেওয়া হোক। অগত্যা আমাদের সেখানে রাত কাটাতে হোল গ্রামের প্রাস্তে বন-বিভাগের একটা ছোট খড়ের ঘরে । ঘরটাতে কেউ থাকে না, ঘরের চারিদিকে বড় বড় শাল গাছ, সারা রাত্রি ধরে শিশির পড়তে লাগলো, যেন মনে হচ্ছিল টুপ টুপ করে বৃষ্টি পড়ছে। সময়টা ছিল কাত্তিক মাস । --খেলেন কি ? —আমার পচক ঠাকুর দুটি ভাত রান্না করলে, তাই খেয়ে শুয়ে পড়ি। পরদিন সকালে উঠে জিজ্ঞেস করে জানলাম পোংসা সেখান থেকে দশ মাইল রাস্তা। পাচককে বললাম, কুলি