পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে পাঁচেক খাবার পরে মুক্ত প্রাস্তরের এখানে ওখানে সংখ্য গওশৈল আমাদের মুেখে পড়লো । আরিজোনার পেইন্টেড ডেজার্ট ছবিতে যেমনটি দেখেছিলাম, ঠিক তেমন্ত্রিী কি অদ্ভুত ছন্নছাড়া মুক্তরূপ প্রকৃতি ! ধরণীর অরুণোদয় এখানে বাধাবন্ধহীন, নিজের মহিমাতে নিজে ভরপুর। ঘরদোরের পাচিল দেওয়াল এরা একমুহূৰ্ত্তে ভেঙে দিয়ে মনটাকে গৃহবিবাণী, উদাস বাউল করে তোলে। কোনো পাহাড়ের ওপর কোনো গাছ নেই—শুধু কালো কোয়ার্টজাইট পাথরের স্তুপ, কোনো কোনোটাতে সামান্ত একটু ঘাস। দূরে পশ্চিম দিগস্তে মুদীর্ঘ বরকেলা শৈলমাল, দূরত্বের কুয়াশীতে কিছু অস্পষ্ট। ওরই ওপরে কোথাও সেই চিটিমিটিবালে। ওরই সামদেশের ঘন বনের মধ্যে দিয়ে অন্ধকারে সেদিন মোটরে চড়ে নেমে আসা । একটা কি নদী পার হোঙ্গ গাড়ী — মীর-জলে এখানে ওখানে ডুবে আছে বড় বড় সামনে একটা অপকৃষ্ট খোলার বস্তি নজরে পড়লো। নীচ খোলার বস্তির একপাশে একটা সাল চুনকাম-করা অট্টালিকা • আমি বললাম-ওটা কি ? স্ববোধ বললে –ওই সেরাইকেলা । সেরাইকেল ক্ষুদ্র টাউন। ঢুকতেই কতকগুলি খোলার বস্তি, মাঝে মাঝে দু’চারটি চুনকাম করা সাদা একতলা দোতলা বাড়ী। বাজারে অনেক দালান পসার, তবে সবাই যেন খুব গরীব লোক, কাঠেব কারিগরেরা বারকোশ খেলনা ইত্যাদি তৈরী করচে ছোট ছোট খেলার ঘরে বসে। বাজারের ভেতরটা বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বলেও আমার মনে হোল না । ঢুকেই যেখানে গেল , সেখানে সংবাদ পাওয়া গেল, টাউনে বেজায় কলেরা দেখা দিয়েছে। আমরা একটু ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তবে এখানে আমাদের কিছু খাওয়া উচিত হবে না । পি, ডবলিউ, ডি, আপিসে বসে আমাদের কথাবাৰ্ত্ত হচ্ছিল। একটি বাঙালী যুবক কৰ্ম্মচারী আমাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করলেন। তিনি সুলেখক মানিক ভট্টাচার্ধ মশায়ের কি আত্মীয় হন। আমি মানিকবাবুব সম্বন্ধে অনেক প্রশ্ন করলাম তাকে , শুনলাম ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় আওরঙ্গাবাদে ( গল জেলার মহকুমা ) শিক্ষকতা করেন এবং বর্তমানে সেইখানেই আছেন । একটু পরে চা লুচি ও সন্দেশ আসতে আমরা একটু সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লাম। —কোনো ভয় নেই, সব বাড়ীর তৈরী। -किछु छलफ़ै —ও এই বাংলোর হাভার ইদারার। তাও ফুটিয়ে নেওয়া । –তাই তো