পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8殻b" বিভূঞ্জিরচনাবলী সেই পাহাড়টিতে আমরা বসে রইলুদুয়র একপ্রহর পর পর্য্যস্ত। হাসি গল্পে সময় কাটলে। মোটরে চাইৰাস ফিরবার পথে আমরা জল্পনা-কল্পনা করলাম, একটা জ্যোৎস্না রাত দেখে শীগগির আবার একদিন ঐ পাহাডটাতে এসে পিকনিক করতে হবে। বড় স্বম্বর প্রান্তর, বড় স্বন্দর পাহাড়টি। এ ধরণের জল্পনা অনেকক্ষেত্রে অনেক বার হয়, কিন্তু আর : কার্ঘ্যে পরিণত হয় নu কোনো ভাল জায়গায় বেড়িয়ে ফিববার পথে মনে হয়—ও, এই ! তো। এখানে আবার কতবার আসবে, এই এত কাছে। কিন্তু ওই পৰ্যন্তই। যাওয়া আর ঘটে না। এখানেও তাই। সেরাইকেল ভ্রমণেব পরে দু’বছর কেটে গিয়েচে– অথচ সেই নির্জন শৈল সন্দর্শনের সৌভাগ্য অাব কখনো ঘটে নি’আমাদেরণ চক্ৰপ্লর ক্ষু রাসর পথে বিখ্যাত হডন জলপ্রপাত। অনেকদিন থেকে আমীদের দেখাচ্ছে ছিল। গত বৎসর ভাত্র মাসে ( ১৩৫ সালের ভাত্র) আমি ঘাটশিলা থেকে সাহিষ্ঠাড়া উপলক্ষে চাইবাস যাই । সভা শেষ হোল রাত দশটায়। গুমা গরম। আমরা মিঃ সিন্‌হার বাড়ী আহারাদি সেবে অনেক রাত পৰ্য্যন্ত কোলহান পার্কের বেঞ্চিতে বসে গল্পগুজব করলাম। কোলহান পার্ক চাইবাস টাউনের একটা সম্পদ বলে মনে করি। মন্ত্র বড় পুকুর, পুকুরের ধারে ফুলের বাগান, হু হু কবচে জলেব হাওয়া, ঠুর ভূর করচে হাস্যুনার স্ববাস বাতাস, ফুটফুটে শরতের জ্যোৎস্না, নিৰ্ম্মেঘ আকাশ। ' বন্ধুদের মূধ্যে কেউ আধুত্তি করচেন, কেউ গান কবচেন, রাত যে কত হয়েচে সেদিকে কারো খেয়াল নেই। হঠাৎ বন্ধুবর স্থবোধ ঘোষ বললেন - চলুন, শোওয়া যাক গে, বাত বোধ হয় বারোটা একটা হয়ে গেল— বাস্তবিক সে একটা অদ্ভুত রাত্রি কাটিয়েচি কোলহান পার্কের জলের ধারে পাথরের বেঞ্চিতে। পাচ ছ'জন বন্ধুবান্ধব, সবাই মিলে গানে গল্পে কোন দিক থেকে সময় কেটে গেল, ঘুমোবার ইচ্ছে নেই কারো। এই সময় মিঃ সিন্‌হা বাড়ী থেকে ঘড়ি দেখে এসে বললেন-রাত তিনটে— আমরা সবাই চমকে উঠি । —তি-ন-টে ? —খাটি তিনটে । এক মিনিট কৃম নয়! -उहे७ ! স্ববোধ প্রস্তাব করলে—তবে আর শুয়ে কি হবে ? আমিও এতে সায় দিলাম। পরেশবাৰু বললেন-আমারও তাই মত। জামি বললাম-আমার একটা প্রস্তাব আছে ।