পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9/o ஆஇதுங்கடிஇடணி நிஇடில்அத்துடன் மூன SLLS BBBT TTTTi DDDTTMiS SD DD LL DkB BBBB ইতে হয় নাই আর সাহিত্যের অ উপন্যাসের উৎকর্ষ প্রতিপন্ন করিবার জন্ত তাহা হইলে বুঝিব বিশ বৎসর পূর্বের সেই সাহিত্যকাচ ফিরিয়া=আদিয়াছে আমরা প্রায় দুষ্ট হাজার বৎসর পূর্বে এক ইউরোপীয় সমালোচক কয়িছিলেন : মহৎ গল্প মহৎ মহিষের অস্তরের ভাষা। বোধহয় এই কথাটি মনে রাখিয়াই মিন্টন লিথিয়াছিলেন : মহৎ কবি নিজেই একখানি মহৎ কাৰ্য। বিভূতিভূষণের রচনা সম্বন্ধে এই কথা বিশেষ ভাবে সত্য। র্তাহার স্মৃতিকথার সঙ্গে তাহার উপন্যাসের যে নিবিড় সম্পর্কের কথা বলিয়ছি ওহীর ভিত্তিও তাহার এই চরিত্রে। র্তাহার দেখা আর র্তাহার হওয়া একই সত্যের দুষ্ট দিক । তিনি যেমন দেখেন, তেমন ভাবেন, যেমন চিন্তা করেন, তেমন বলেন আর র্তাহার এই দেথ', ভাবা, চিন্তা করা, বলা সবই এক অথও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। তাহাকে নানা স্থান হইতে নানা জিনিস কুড়াইয়া তাহাকে সাজাইরা পাঠকের সামনে উপস্থিত করিতে হয় না। তাহার সব কথা স্বতই তাহার চিত্ত হইতে যেন উৎসারিত হইতেছে। যে সরলতা তাঙ্গর চরিত্রে, সেই সরলতা তাহার রচনার এবং তাহার স্টাইলের ঋজুতা ও স্বচ্ছতাও মূলত তাহার অন্তরের সহজ rhetoric । তিনি ঘষিয়া মাণ্ডিয়া লিখিতেন না, চমক লাগাইবার জন্ত শব্দ বাছিতেন না, বাহবার জন্য কথায় রং চড়াইতেন না। র্তাহার গদ্য পড়িতে পড়িতে মনে হয় যে আজকাল আমাদের গল্পের এমন দুর্দশার কারণ এই যে সকলেই খুব ভাল গদ্য লিখিতে ব্যস্ত। “আরণ্যক" পড়িয়া বুঝি যখন বলার কিছু থাকে তখন তাহা মুন্দর ভাবেই বলা হয়। পরম বিনয়ী মানুষ বিভূতিভূষণ যেন তাহার লেখার মধ্য দিয়া আমাদের বুঝাইতেছেন ভাবের দৈন্ত ভাষার চাকচিক্য দিয়া পুরিয়া দেওয়া যায় না। এখন প্রশ্ন হইল, বিভূতিভূষণের ভাবের ঐশ্বর্য কোথায় ? “আরণ্যক" এক মহৎ স্বই কোন অর্থে রাজশেখর বম্ব বইখানি পড়িয়া বলিয়াছিলেন : ‘পড়লে ঘুরে বসেই হাওয়া বদলের কাজ হয়' ( "কথাসাহিত্য", অগ্রহায়ণ, ১৩৪৭ )। হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের মতে ইহা এক অভিনব উপনিষদ" (“শনিবারের চিঠি", অগ্রহায়ণ, ১৩৫৭)। বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ইহাকে বলিলেন : ‘অভিনব বস্তু’ ( “শনিবারের চিঠি", অগ্রহায়ণ, ১৩৫৭ )। শ্ৰীকুমার বন্দোপাধ্যায়ের মতে ‘প্রকৃতির যে স্বক্ষ, কবিত্বপূর্ণ অনুভূতি বিভূতিভূষণের গৌরব তাগ এই উপন্যাসে চরম উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে’ (“বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা")। - নিসর্গ-প্রতি পৃথিবীর যে কোন সাহিত্যেই চিরকালের বস্তু। আর বাংলা সাহিত্যে বাংলা দেশের প্রকৃতির বিচিত্ররূপ রূপে বর্ণে গন্ধে প্রকাশিত হইয়া আছে। বিদ্যাপতির ‘ঝম্পি ঘন গরজস্তি সন্ততি । ভুবন ভরি বরদস্তিয়া হইতে রবীন্দ্রনাথে ঐ আগে ঐ অতি ভৈরব রভসে বাংলা কাব্যে প্রকৃতির কথায় ভরা। আর আমাদের গদ্যে প্রকৃতির বর্ণনা নাই যাহার