পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wa ड्रिड-ब्रष्नांवनी জলে সিদ্ধ করিয়া একটু গুড় মিশাইয়া পুলটিসের মত একটা দ্ৰব্য তৈয়াৰী করিয়া বঁটাসায় সরপুরিয়া থালাতে আদর করিয়া ছেলেকে থাইতে দেয়। অপু তাহাই খুশিল্প সহিত এতদিন থাইয়া আসিয়াছে, মোহনভোগ যে এরূপ হয় তাহা সে জানিত না । কিন্তু আজ তাহারা মনে হুইল এ মোহনভোগে আর মায়ের তৈয়ারী মোহনভোগে আকাশ-পাতাল তফাৎ • সঙ্গে সঙ্গে মায়ের উপর করুণায় ও সহানুভূতিতে তাহার মন ভরিয়া উঠিল। হয়তো তাহার মাও জানে না যে, এ রকমের মোহনভোগ হয় -সে বেন! আবছায়া ভাবে বুঝিল, তাহার মা গরীব, তাহাত্মা গরীব-তাই তাহদের বাড়ী ভাল থাওয়া-দাওয়া হয় না । একদিন পাডার এক ব্ৰাহ্মণ প্রতিবেশীর বাড়ী অপুর নিমন্ত্রণ হইল। দুপুরবেলা সেবাড়ীর একটি মেয়ে আসিয়া অপুকে ভাকিয়া লইয়া গেল। ওদের রান্নাঘরের দাওয়ায় স্বত্ব করিয়া পিড়ি পাতিয়া জল ছিটাইয়া অপুকে খাবার জায়গা করিয়া দিল। যে মেয়েটি অপুকে ভাকিতে আসিয়াছিল, নাম তার অমলা, বেশ টকটকে ফর্মী স্নাং, বড় বড় চোখ, বেশ মুখখানি, DBBB DBB D DYSS BDBD K gEBB DBBB LDBBBD S ELBDBBBSBBB LLBLB তৈয়াৱী চন্দ্ৰপুলি পাতে দিলেন। খাওয়ার পরে অমলা তাহাকে সঙ্গে করিয়া বাড়ী দিয়া গেল। সেদিন বৈকালে খেলিতে খেলিতে অপুত্ব পায়ের আঙলে হঠাৎ বাগানের বেড়ার দুই বঁশের ফাঁকে পড়িয়া আট্‌কাইয়া গেল। টাটুকা-চেরা নতুন বাঁশের বেড়া, আঙুল কাটিয়া স্বাক্তারক্তি হইল, অমলা চুটিয়া আসিয়া পা-খানা বঁাশের ফ্যাক হইতে বাহির না করিলে গোটা আঙুলটাই কাটা পড়িত। সে চলিতে পারিতেছিল না, অমলা তাহাকে কোলে করিয়া গোলার পাশ হইতে পাথরকুচি পাতা তুলিয়া বাটিয়া আঙলে বাধিয়া দিল। পাছে বাবার বকুনি খাইতে হয়, এই ভয়ে অপু একথা কাহারও কাছে প্ৰকাশ কৱিল না। লে রাত্রে গুইয়া অপু শুধু অমলারই স্বপ্ন দেখিল। সে অমলার কোলে বেড়াইতেছে, অমলার কাছে বসিয়া আছে, অমলার সঙ্গে খেলা করিতেছে, অমলা তাহার পায়ের আঙুলে পটি বাধিয়া দিতেছে, সে ও অমল রেলরাস্তায় ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেছে--অমলার হাসিভরা চোখমুখ ঘুমের ঘোরে সারায়াত নিজের কাছে কাছে। ভোরে সে শুধু খুজিতে লাগিল অমলা কখন আসে । আরও সব ছেলেমেয়েরা আসিল, খেলা আরম্ভ হইয়া গেল, ক্ৰমে বেশ বেলা হইল-কিন্তু অমলার দেখা নাই। বাড়ীর ভিতর হইতে বধু খাবার খাইবার জন্য জ্ঞাকিয়া পাঠাইল-য়োজ সকালে বিকালে বধু নিজের হাতে খাবার তৈরী করিয়া তাঁহাকে খাওয়াইত-খাওয়া শেষ করিয়া আসিবার সময় সে বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করিলা-সকালে কি অমলাদিদি এসেছিল ? না, সে আসে নাই। ক্রমে আরও বেলা হওয়াতে খেলা ভাঙিয়া গেল। তাহার বাবা তাহাকে স্বান করিবার জন্য ভাকিল। তবুও কোথায় অমল ? অতিমানে তাহার মন ছাপাইয়া উঠিল, বেশ, নাই বা আসিল! আমলান্ধি সহিত তাহায় জন্মের মত অ্যাড়ি—আর যদি সে কখনো তাহার সহিত কথা কয়! বৈকালেণ্ড খেলা আয়ত্ব হইল, আয় সকলেই আসিল-অমলা নাই। পাঁচ ছয়টি ছেলেমেয়ে খেলিতে আসিলেও অপুর মনে হইল, কাহার সহিত লে খেলিবে? কেহই উপযুক্ত খেলার সাৰী বলিয়া মনে হইল না! উৎসাহহীন,