পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R बिठूडि-ब्रष्मांदणी কংশে একটা ধারা দিয়ে গিয়েছেন, সেটা যাবে কোথায় ? তাঁহাদের ঘরের জানলার কযেক হাত দুয়েই বাড়ীর পাচিল এবং পাচিলের ওপাশ হইতেই tB K BBBD D BB DBDDEEBDB DB BDDB DDBD S YDDD BDDBLL চোখে পড়ে সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ের মত তািটশেওড়া গাছের মাথাগুলো, এগাছে ওগাছে দোহুল্যমান কত রকমের লতা, প্রাচীন বঁাশৰাড়ের শীর্ষ বয়সের ভাৱে যেখানে সোদালি, ধন-চালিত গাছের উপর কুকিয়া পড়িয়াছে, তাহাঙ্গ নীচের কালো মাটির বুকে খজন পার্থীত্ব নাচ ! বড় গাছপালার তলায় হলুদ, বনকচু ফটুওলের ঘন-সবুজ জঙ্গল ঠেলাঠেলি করিয়া সুৰ্যোয় আলোর দিকে মুখ ফিরাইতে প্ৰাণপণ করিতেছে, এই জীবনের যুদ্ধে যে গাছটা অপারগ হইয়া গৰ্ব্বদ্যুপ্ত প্ৰতিবেশীর আওতায় চাপা পড়িয়া গিয়াছে, তাহার পাতাগুলি বিবৰ্গ, মৃত্যুপাণ্ডুয় ভাটা গলিয়া আসিল,-মািরণাহত দৃষ্টির সম্মুখে শ্লেষা-শরতের বন-ভরা পরিপূর্ণ ঝলমলে রৌদ্র, পরগাছার ফুলের আকুল আন্দ্ৰেৱ্যগন্ধ মাখানো পৃথিবীটা তাহার সকল সৌন্দৰ্য্যরহস্য, বিপুলতা লইয়া ধীরে ধীরে আন্ডালে মিলাইয়া চলিয়াছে। তাহাজের বাড়ীর ধার হইতে এ বনজঙ্গল একদিকে সেই কুঠির মাঠ, অপর দিকে নদীর ধারা পৰ্যন্ত একটানা চলিয়াছে। অপুর কাছে। এ বন অফুরন্ত ঠেকে, সে দিদির সঙ্গে কতসূত্র gB BDBD DDDLDD LDB BDDDBBLBS BDB DBL uBDBBD BLB DYi BDBDDBDBD DDuDL গাছের তলা দিয়া পথ, মোটা মোটা গুলঙ্কলিতা—দুলানো থোলো থোলো বানচালতার ফল চারিধাৱে। মুড়ি পথটা একটা আমবাগানে আসিয়া শেষ হয়, আবার এগাছের ওগাছের তলা দিয়া কল-কলমী, নাটা-কঁটা, ময়না-ঝোপের ভিতর দিয়া চলিতে চলিতে কোথায় কোনদিকে লইয়া গিয়া ফেলিড়েছে, শুধুই বন ধুধুলের লতা কোথায় সেই জিশ্বঙ্গে দোলে, প্ৰাচীন শিল্পীৰ গাছের শেওলা-খারা ভালোৱা গায়ে পরগাছার বাড নজরে আনে । এই বন তাৱ শুমলতার নবীন স্পর্শটুকু তার আর তার দিদির মনে বুলাইয়া দিয়াছিল। জন্মিয় অবধি এই বন তাহদের সুপরিচিত, প্ৰতি পলের প্রতি মুহূর্কের নীরব আনন্দে তাহাজের পিপানুহৃদয় কত বিচিত্র, কত অপুৰ্ব্ব রসে ভরিয়া তোলে। বর্ধাসতেজ ঘন সবুজ ঝোপেয় মাথায় নাটা-কঁটার সুগন্ধ ফুলের হলুদ রংএর শীস, আসন্ন সূৰ্য্যাস্তুের ছায়ান্য মোটা ময়না-কঁটা ভালের আগায় কাঠবিড়ালীর লঘুৰ্গতি আসাযাওয়া, পত্রপুপফলের সে প্ৰাচুৰ্য্য, সবাকার অপেক্ষা যখন ঘনবনের প্রান্তবকী, ঝোপঝাপের সঙ্গীহীন বঁকা ভালে বনেয়। কোনো অজানা পাখী বসিয়া থাকে, তখন তাহার মনের বিচিত্র, অপূৰ্ব, গভীর আনন্দরাসের বর্ণনা লে মুখে বলিয়া কাহাকেও বুঝাইতে পারে না। সে যেন স্বপ্ন, যেন মায়া, চারিপাশ বিন্ধিয়া পাখী গান গায়, সুর ঘুর করিয়া করিয়া ফুল পড়ে, সূৰ্য্যান্তের আলো আরও ঘন छायग्न छ । এই বনের মধ্যে কোথায় একটা মজা, পুৱানো পুকুর আছে, তারই পাড়ে যে ভাণ্ড মন্দিয়টা আছে, আজকাল ধেমান পঞ্চানন্দ ঠাকুর গ্রামের দেবতা, কোনো সময়ে ঐ মন্দিরের বিশালাকী দেৰী সেই রকম ছিলেন। তিনি ছিলেন গ্রামের মজুমদায় কংশের প্রতিষ্ঠিত