পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See বিভূতি-রচনাবলী কয়ে পাঁচটা টাকা বেলে--ছেলেমানুষের জিনিস ব্যাচবার ইচ্ছে ছেল না, তা কি করি এখন দুটো খেইয়ে বঁচি, তাকলাম এর পর দিন দেন মালিক তো মোর বাছায়ে মুই আবার নিমফােল গড়িয়ে গেৰে ! তা দেন। মনিব ঠাকুর চাবিড়া গিয়ে SSSSSLD D SAB D SLqL BD DBB EL DBY DkBBS BD S DBD DD uS সে তুই কি বুঝৰি, খাকতো তোর সোয়ামী তো বুঝতো, ধা এখন দিক্‌ করিস নি-ওই পাঁচ টাকা তোর নামে জমা রৈল-বাকী টাকা নিয়ে আয় তারপর দেখা যাবে অল্পদ রায় চশমা খুলিয়া খাপের মধ্যে পুরিতে পুরিতে উঠিয়া পড়িলেন ও বাড়ীর ভিতরে চলিয়া যাইবার উদ্যোগ করিলেন। তমুরেজের বেী আকুল স্বরে বলিয়া উঠিল-কনে যান। ও মনিব ঠাকুর, মোর খোকার একটা উপায় ক’য়ে যান, ওরে মুই খাওয়াবো কি, এক পয়সার মুক্তি কিনে দেবার ষে পয়সা নেই-মোর গোলা না খুলে স্থান, মোর টাকা কতা মোরে ফেরৎ স্থান স্নায় মহাশয় মুখ খিচিাইয়া বলিলেন-ধা ধী সন্দে বেলা মাগী ফ্যাচ ফ্যাচ করিস নে-এক মুঠো টাকা জলে যাচ্চে তার সঙ্গে খোজ নেই, গোলা খুলে দাও, টাকা ফেরৎ দাও-গোলায় আছে কি তোয় ? জোর শালি চারেক ধান, তাতে টাকা শোধ স্বাবে ? ও পাঁচ টাকাও উজ্জ্বল হয়ে য়ৈল, আমার টাকা দেখবো না । ওঁর ছেলে কি খাবে ব’লে স্থাও-ছেলে কি খাবে তা আমি কি জানি ? যা, পারিস তো নালিশ ক’রে খোলাগে যা রায় মহাশয় বাড়ীর মধ্যে চলিয়া গেলে দীনু ভট্টচাৰ্ষ্যি বলিলেন-হঁ্যাগ বেী, তমুরেজ কদিন হ’লো-কৈ তা তো -বুধবারের দিন বাবা ঠাকুর, হাঠাথে ভাঙন মাছ আনলে, পেঁয়াজ দিয়ে রাঁধলাম-দোলাম --সহজ মানুষ ভাত খেলে দিব্যি—খেয়ে বললে মোর শীত করছে, কঁথা চাপা দিয়ে স্থাও, দেলাম -ওমা পাইতে তারা উঠতি না। উঠতি মানুষ দেখি আর সাড়াশব্দ দেয় না, দুপুর হাতি না হতি মোরে পথে বসিয়ে-মোর খোকারে পথে বসিয়ে-চোখের জলে তাহার গলা আটুকাইয়া গেল! মিনতির সুরে বলিল-আপনায়া এটু, বলেন-বালে গোলার চাবিজ্ঞা দিয়েই স্থান, সংসারে বড় কষ্ট হয়েচে-কাজ”কি মুই বাকী রাখবো।--ঝে ক’রে হোক এই সময়ে নবাগত জ্ঞাতিপুত্রটি আসিয়া পড়াতে কথাবাৰ্ত্তা বন্ধ হইল। দীৰ্ঘ ৰালিলেন---এস হে নীরেন। বাবাজী, মাঠের দিকে বেড়াতে গিয়েছিলে বুঝি ? এই তোমার বাপ ঠাকুরদার দেশ বুঝলে হে, কি রকম দেখলে বল ? নীরেন একটু হাসিল। তাহঁর বয়স একুশ বাহুশের বেশী নয়, বেশ বলিষ্ঠ গড়ন, সুপুরুষ। কলিকাতার কলেজে আইন পড়ে, অত্যন্ত মৌনী প্ৰকৃতির মানুষ-দেখিবায় জন্য পিতা কর্তৃক প্রেরিত হইলেও কাজকৰ্ম্ম সে কিছুই দেখে না বোঝেও না, দিন রাত নভেল পঠিয়া ও বন্দুক চুড়িয়া কাটায়। সঙ্গে একটি বন্মুক আনিয়াছে, শিকারের ঝোঁক খুব। নীরেন উপরে নিজের ধরে ঢুকিতে গিয়া দেখিল, গোকুলের গ্ৰী ঘরের মেজেতে বসিয়া পড়িয়া মেজে হইতে কি খুটিয়া খুটিয়া তুলিতেছে। দোরের কাছে ধাইতেই তাহার নজর