পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• لt এই যুগের বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস লিখতে ব’সবো না। কতকটা প্ৰসঙ্গানুকূল হ’লেও, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য-গৌরব বিষয়ে নিজের দুটাে অনুভূতি বা বোধ-বিচারের কথা বলতে গেলে, একটু অবাস্তুর হয়ে পড়বে। একথা সত্য ষে পৃথিবীর সব দেশের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক আর অল্প লেখকেরা কিছুনা-কিছু নোতুন জিনিস, নবীন বস্তু-নূতন দৃষ্টিভঙ্গী আর প্ৰকাশভঙ্গী, নূতন তথ্যের আবিষ্কার অথবা নূতন তত্ত্বের উদঘাটন ক’রে থাকেন, আর তার দ্বারা নিজের দেশের মানুষের চিত্তকে আর দেশের সাহিত্যকে আরও ঐশ্বৰ্য্যবান ক’ৱে তোলেন, রাসানুভূতির নূতন উৎস খুলে দেন। মধুসূদন, নবীন, বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, রমেশচন্দ্ৰ, শরৎচন্দ্ৰ, আর এদের মতন আর সকলের কৃতিত্ব তো এইখানেই- সকলেই কোনও-না কোনও অভিনব কুসুম নিজেরা-নিজের চিত্তোস্থান থেকে চয়ন ক’রে বঙ্গ-ভারতীর তথা ভারত-ভারতীয়, এবং এমন কি বিশ্ব-ভারতীর বেদিতে অৰ্পণ ফ’য়ে ধন্য হয়েছেন, মানবকেও ধন্য ক’রেছেন। বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি লোকোত্তর প্রতিভার অধিকাৰী কবি ও ভাবুক, সত্যভ্রষ্টা ও চিন্তানেতার কথা তো বলাই বাহুল্য, আমরা সকলেই তাদের মহত্ব আর গৌরব বুঝি, সহৃদয় রসবিৎ মানুষের মনে এদের সম্বন্ধে সীমিত-দৃষ্টির “অনীহা” কখনও আসবে না। বিশ্বসাহিত্যের সম্বন্ধে যাদের মনে আগ্ৰহ আছে, সঙ্কীর্ণ দৃলাদলির ক্ষণিকের স্বার্থকে সারা বস্তু তেবে পরম আর KD YY KLLL DOB DS S S E LLL B BBB t DB মূল্য ভুলবেন না। 寝 事 বিভূতি বন্দোপাধ্যায় ৫৬ বৎসর মাত্র জীবিত ছিলেন। ১৯২৯ সালে তঁর প্রথম আর অদ্ভুতম শ্রেষ্ঠ রচনা “পথের পাঁচালী” প্রকাশিত হয়, আর এই বই প্ৰকাশের সঙ্গে-সঙ্গেই তার সাহিত্যিক প্ৰতিষ্ঠা স্বীকৃত হয়ে মায়। তার পরে তঁর অবশিষ্ট জীবনে প্ৰায় ৫১ খানি বই তিনি লিখে যান, এগুলির মধ্যে ৭৮ খানি তঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। আর তা ছাড়া অঙ্ক কিছু লেখা এখনও অপ্রকাশিত অবস্থায় আছে। সমষ্টি ধরলে, তীয় সাহিত্যিক কৃতিত্ব নগণ্য নয়, আর ঊায় কৃতি এই সাহিত্য-সন্তারকে বাঙািল দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্ৰগতির বা উন্নতির ক্ষেত্রে একটি লক্ষণীয়, “অবদান" অর্থাৎ পুণ্যকীর্তিই ব’লতে হয়। অবদান বা পূতচরিত্রের প্রসঙ্গ বা অ্যালোচনায় সহৃদয় মানুষের মন এক অনির্বচনীয় আনন্দের অধিকারী হয়, তায় ব্যক্তিত্বেরও উন্নয়ন হয়। বিভূতিভূষণের সাহিত্যিক অবদানের লক্ষণ কি, তার বিশিষ্টত কোথায় ? এ বিষয়ে সাহিত্যিক-জগতের বিশেষজরা চুল-চেয়া বিচার করছেন, আরও করবেন, এবং তঁরা নিজ নিজ নিষ্কল বা বিচার কৌতুহলী পাঠকের কাছে নিবেদন ক’বেন। বিভূতিভূষণ লেখক হিসাবে বিশ্বন্ধর ছিলেন না, একথা বললে তঁৱে গৌরবের কোনণ্ড হানি হয় না। রবীন্দ্রনাথের মত র্তার সম্বন্ধে এ কথা বলা চলে সা-শুধু তার সম্বন্ধে কেন, পৃথিবীর মাত্র সাত-আটটি বিরাট মনীষাপূর্ণ, মানসিকতায় ও মানবিকতায় পূর্ণ মানব ভিন্ন আর কারও সম্বন্ধে বলা চলে না ( যেমন গ্যোটে, শেকৃম্পিন্নয়, লেওনার্দো-দা-তিথি, অশোক, আলেক্সান্দর, সেক্রোতেস, বুখ, মানবজাতির মধ্যে যাদের প্রভঁীক-শ্রেণীর ব’লে