পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 विडूर्छि-ज्ञानांवर्ध्नौ চড়ুইভাতির মাঝামাঝি অপুদের বাড়ীর উঠানে কাহার ডাক শোনা গেল। দুৰ্গা বলিল -বিনির গলা যেনে-নিয়ে আৰ্য তো স্কেকে অপু। একটু পরে অপুৰ পিছনে পিছনে দুৰ্গায় সমবয়সী একটি কালো মেয়ে আসিল-একটু হাসিয়া যেন কতকটা সম্বমের সুরে বলিল-কি হচ্চে দুৰ্গা দিদি ? দুৰ্গা বলিল—শুমায় না বিনি, চড়াই-ভাতি কচি-বোস মেয়েটি ওপাড়ার কালীনাথ চকত্তির মেযে-পরণে আধ্যমযলা শাড়ী, হাতে সরু সরু কঁাচের চুড়ি, একটু লম্বা গড়ন, মুখ নিতান্ত সাদাসিধা । তাহার ব্যাপী যুথীর বামুন বলিয়া সামাজিক ব্যাপারে পাড়ায় তাহাদের নিমন্ত্রণ হয় না, গ্রামের একপাশে নিতান্ত সকুচিত ভাবে বাস করে। অবস্থাও ভাল নয়। বিনি দুর্গার ফক্সমাইজ খাটিতে লাগিল খুব । বেড়াইতে আসিযা হঠাৎ সে যেন একটা লাভজনক ব্যাপারের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছে, এখন ইহায় তাহাকে সে উৎসবের অংশীদার স্বীকায় করিবে কি না করিবে-এৰূপ একটা দ্বিধামিশ্ৰিত উল্লাসের ভাব তাহার কথাবাৰ্ত্তাষ ভাবভঙ্গিতে প্ৰকাশ পাইতেছিল। দুৰ্গা বলিল-বিনি, আর দুটো শুকনো कार्य छांश cठा-धाgनों खलह5 ना डाल বিনি। তখনি কাঠ আনিতে দুটিল এবং একটু পৰে এক বোঝা শুকনা বেলের ভাল আনিয হাজির করিয়া বলিল-এতে হবে দুৰ্গগা দিদি-না। আর আনবো ?• • •দুৰ্গা যখন বলিলবিনি এসেচে-ও-ও তো এখানে খাবে।--আর দুটো চাল নিয়ে আন্ম অপু-বিনির মুখখানা খুশিতে উজ্জল হইয়া উঠিল। খানিকটা পরে বিনি জল আনি যা দিল। আগ্রহের সুরে জিজ্ঞাসা করিল--কি কি তরকারী দুৰ্গগা দিদি ? ভাত নামাইয়া দুৰ্গা তেলাটুকু দিয়া বেগুন তাহাতে ফেলিয়া দিযা ভজে । খানিকটা পরে সে অবাক হইযা ছোবার দিকে চাহিয়া থাকে, অপুকে ভাকিব! বলে-ঠিক একেবারে সত্যিাকারের বেণ্ডৰ ভাজার মত রং হচ্চে দেখােচস অপু। ঠিক যেন মাির রান্না বেগুন-ভাজা, না ? অপুত্বও ব্যাপারটা আশ্চৰ্য্য বোধ হয়। তাহারও এতক্ষণ যেন বিশ্বাস হইতেছিল না যে, তাহাঙ্গের বন-ভোজনে সত্যিকায় ভাত, সত্যিকার বেগুন-ভাজা সম্ভবপর হুইবে । তাহার পাব দুজনে মহা আনন্দে কলার পাতে খাইতে বসে, শুধু ভাত আর বেগুন-তাজা, আর কিছু না। অপু গ্ৰাস মুখে তুলিবার সমল দুর্গ সেদিকে চাহিয়াছিল, আগ্রহের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে,-কেমন হয়েচে দেৱ বেগুন ভাজা ? অপু বলে,-বেশ হয়েচে দিদি, কিন্তু সুন্ন হয় নি। যেনে লবণকে রন্ধনের উপকরণের তালিকা হইতে ইহাৱা অস্তু একেবারেই বাদ দিয়াছে, লবণের বালাই রাখে নাই। কিন্তু মহাখুশিতে তিনজনে কোষো মেটে আলুর ফল ভাত ও পানসে অ্যাধপোড়া বেগুন ভাঙ্গা দিয়া চড়ুই-ভাতির ভাত খাইতে বসিল । দুর্গার এই প্ৰথম স্নায়া, সে বিশ্বস্তুষিশানো আনন্দের সঙ্গে নিজের হাতের শিল্প-সৃষ্টি উপভোগ করিতেছিল । এই বনকোপের মধ্যে, এই শুকনা থামাতাপাতায় রাশের মধ্যে, খেজুর তলায় ঝরিয়া-পড়া খেজুর পাতায় পাশে বসিয়া সত্যিকারের তাত তরকারী খাওয়া !