পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外r领<柏f命 Sጳቁ খোপায় রজনীগন্ধা ফুল গুজিয়া আর পাঁচ ছয়টি মেয়ের সঙ্গে পূজার দালানে দাড়াইয়া খুব গল্প করিতেছে ও হাসিতেছে। স্নানয়নী বাদে বাকী মেয়েদের সে চেনে না, বোধহয় অঙ্ক জায়গা হুইতে উহাদের বাড়ী পূজার সময় আসিয়া থাকিবে-শহরের মেয়ে বোধহয়, যেমন সাজগোজ, তেমন দেখিতে ! অপু একদৃষ্টি তাহাঙ্গের দিকে চাহিয়া রহিল । ওদিকে কে টেচাইয়া BBBDBLDYii tB S KDBDBDS DDDS EEL g DSS BYJDLD E DBz কৰ্ম্ম, দেখো এখন এর পর মজাটা । তারপর ব্ৰাহ্মণ খেতে বসবে কি বোলা পাঁচটায় ? সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ দেখিতে দেখিতে দিন কাটিয়া গেল। শীতকালও শেব হইতে চলিয়াছে। দুর্গার মৃত্যুর পর হইতেই সৰ্ব্বজয়া অনবরত স্বামীকে এ গ্রাম হইতে উঠিয়া ধাইবার জন্য তাগিদ দিয়া আসিতেছিল, হরিহরাও নানাস্থানে চেষ্টার কোন ফ্লটী করে নাই ! কিন্তু কোনো BBD BDB uTBBBB DK tD SS DB KKS BBBB gDBBB BDDBB BB BBBBLSS মধ্যে গত শীতকালে হরিহরের জ্ঞাতিভ্রাতা নীলমণি প্লায়ের বিধবা স্ত্রী এখানে আসিয়াছেন ও নিজেদের ভিটা জঙ্গলাবৃত হইয়া যাওয়াতে ভুবন মুখুয্যের বাটীতে উঠিয়াছেন । হরিহর নিজের বাটতে বৌদিদিকে আনিয়া রাখবার যথেষ্ট আগ্রহ দেখাইয়াছিল, কিন্তু নীলমণি রায়ের স্ত্রী রাজী হন নাহি । এখানে বৰ্ত্তমানে তঁহায় সঙ্গে আসিয়াছে মেয়ে অতসী ও ছোট ছেলে মুনীল । বড় ছেলে সুরেশ কলকাতায় স্কুলে পড়ে, গ্রীষ্মের বন্ধের পূর্বে এখানে আসিতে পারবে না। অতসীর বয়স বছর চৌদ্ধ, সুনীলের বয়স আট বৎসর। সুনীল দেখিতে তত ভাল নয়, কিন্তু অতসী বেশী থই, তবে খুব সুন্দরা বলা চলে না। তাহা হইলেণ্ড বরাবর ইহাৱা লাহোৱে কাটাইয়াছে, নীলমণি রায় সেখানে কমিসারিয়েটে চাকর করিতেন, সেখানেই ইহাদের জন্ম, সেখানেই লালিত-পালিত ; কাজেই পশ্চিম-প্ৰদেশ-সুলভ নিটোল স্বাস্থ্য ইহাদেৱ প্ৰতি অঙ্গে } ইহাৱা এখানে প্ৰথম আসিলে সৰ্ব্বজয়া বড় মানুষ জায়ের সঙ্গে মেশামোশি করিবার চেষ্টা পাইয়াছিল। সুনীলের মা নগদে ও কোম্পানীর কাগজে দৃশহাজার টাকার মালিক একথা জানিয়া জায়ের প্রতি সম্রামে তােহাৱা হৃদয় পূর্ণ হইয়া যায়, গায়ে পড়িয়া আলাপ জমাইবার চেষ্টা কম করে নাই, কিন্তু শোধ পধ্যস্ত সৰ্ব্বজয়া নিৰ্ব্বোিধ হইলেও বুঝিতে পারিল যে সুনীলের মা তাহাকে ততটা অংখল দিতে প্ৰস্তুত নহেন। তঁহার স্বামী চিরকাল বড় চাকৰী করিয়া আসিয়াছেন, তিনি ও উহার ছেলেমেয়ে অন্ধুভাবে জীবন ঘাপনে অভ্যস্ত। সুরু হইতেই তিনি দখ্রিস্ত্ৰ ভঞ্জাতি পরিবার হরিহরের সঙ্গে এমন একটা ব্যবধান রাখিয়া চলিতে লাগিলেন যে, সর্বজয়া আপনিই হঠিয়া আসিতে বাধ্য হইল । কথায়, ব্যবহারে, কাজে, খুটিনাটি সব ব্যাপারেই তিনি জানাইয়া দিতে লাগিলেন যে,