পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SW সঙ্গত হয়েছে, আমাদের সেই শক্তিসমূহের মধ্যে রক্ষা করে ; আমাদের উপর তোমার নিঃশ্বাস আসুক ; আমি পৃথিবীর পুত্ৰ, পৃথিবী আমার মাতা। পর্জন্ত (বৃষ্টি) আমার পিতা, তিনি আমাকে পূৰ্ণ করুন।” ১৭। বিশ্বস্বামী মাতরম্ ওষধীনাং ধ্রুবাম ভূমিম পৃথিবীং ধর্মণা ধাতাম । findir geiri:My 503 ar fixer “এই পৃথিবী আমাদের প্রতি মঙ্গলময়ী হোন, শুভকারিণী হোন, সমস্ত বস্তুর প্রস্থতি যিনি, যিনি দ্বিৱা, যার উপর আমরা বিচরণ করি, সমস্ত ওপধি অর্থাৎ তরু-লতা-গুলোর মাতা যিনি, -বিশ্বপ্ৰপঞ্চকে যিনি ধ’রে রয়েছেন সেই ধৰ্মষ্ট তাকে ধ’রে আছেন।” ২১। অগ্নিবাসাঃ পৃথিবীসিতন্ত্ৰাপ্তিৰীমন্তং সংশিতম মা রূণোত্ন ॥ “হে পুথিবী, অগ্নিই তোমার পরিধেয়, তোমার জাম্বয় ক্লষ্ণবর্ণ, আমাকে তেজোময় ও তীয়ুক্ত করে ।” ২৩। যন্তে গন্ধঃ পৃথিবী সম্ৰভুব হামু ৰিহুতোষধয়ো যা আপঃ। যঃ গন্ধৰ্ব অঙ্গরসাশ্য ভেজিরে, ৬েন মা সুরভিং ক্লণ্ড, মা নো দ্বিক্ষত কশ্চন। “হে পৃথিবী, তোমাতে যে সৌরভ উদ্ভূত হয়েছে, যে সৌরভ তোমার ওষধি-সমূহে, তোমার জলসমূহে বিস্তমান, গন্ধৰ্বোরা আর অন্সর।ারাও তোমার যে সৌরভের অংশভাস্ক, আমাকেও সেট সৌরভে সুরভি করে-মার, কেউ খেন আমাদের হিংসা না করে ।” ২৪। ঘন্তে গন্ধঃ পুঙ্করম আবিবেশ যং সং জঙ্গ; দুর্ধ্যায়ী বিবাহে। অমর্ত্যাঃ পৃথিবি গন্ধম। আগ্ৰে তেন মা সুরভিং কৃণু, মা নো দ্বিক্ষত কশ্চন ৷ “তোমায় যে সৌরভ পদ্মের মধ্যে প্রবেশ করেছে, সুৰ্য্যকন্যা সুষ্যার বিবাহে ষ্ণে সুগন্ধি প্ৰস্তুত করেছিল, হে পৃথিবী, অমর দেবতার উপযোগী, অগ্রে সঙ্কাত সেই সৌরভ, তা দিযে আমাকে সৌৱভযুক্ত করো-আর, কেউ যেন আমাকে হিংসা না করে।” ২৫। যন্তে গন্ধ পুরুষ্যেষু স্ত্রীয়ু পুংনু ভগো রূচিঃ। যো অশ্বেষু বীৱেষু ষো মৃগোষাভ হস্তিষু | কন্যায়াং বর্চে ঘন্দ ভুমে তেনাস্মী অপি সং স্বচ্ছ, মা নো দ্বিক্ষত কশ্চন। “তোমার যে সৌরভ নরের মধ্যে আছে নারীর মধ্যে আছে,-পুরুষের মধ্যে যে ঐশ্বৰ্য্য বা শক্তি, যে তেজ বা জ্যোতি আছে; যা ঘোড়ার মধ্যে, বীরপুরুষদের মধ্যে, আরণ্য পশুর মধ্যে, হাতীর মধ্যে আছে, কস্তাদের মধ্যে ৰে দীপ্তি আছে-হে ভূমি, সেই শক্তি ও দীপি আমাদের মধ্যেও এনে দাও--আল্প, কেউ যেন আমাদের হিংসা না করে " ২৬। শিলা ভূমিরশ্ন পার্হস্থঃ সা ভূমিঃ সংস্কৃত স্থত। তস্যৈ হিরণ্যবক্ষসে পুথিব্য অকরং নমঃ ॥ “শিলা, মাটি, প্রস্তরখণ্ড, ধূলি--এইগুলির দ্বারায় এই পৃথিবী নির্মিত, কঠিনভাবে গঠিত, সেই হিরণ্যাবক্ষোযুক্ত পৃথিবীকে আমি প্ৰণাম করেছি।”