পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের পাঁচালী Y brif কালো মাটির ঢেলা ও একপাশে কালিমাখা নতুন গাড়ি পড়িয়া আছে। হরিহর চুপ করিয়া বসিয়াছিল, তাহার যেন কেমন কেমন ঠেকিতেছিল। কাজটা কি তাল হইল ? কতদিনের পৈতৃক ভিটা, ওই পাশের পোড়ো তিটাতে সে সব ধুমধাম একেবাৱে শেষ হইয়া গিয়াছিলই তো, যা-ও-বাঁ মাটির প্রদীপ টম টম করিতেছিল, আজ সন্ধ্যা হুইতে চিরদিনের জন্তু নিবিয়া গেল। পিতা রামটিাব্দ তর্কবাগীশ স্বৰ্গ হইতে দেখিয়া কি মনে করিকেন ? প্রামের শেষ বাড়ী হইতেছে আতুৰী বুড়ীর সেই দোচালা ঘরখানা, যতক্ষণ দেখা গেল অপু। ই করিয়া সেদিকে চাহিয়া বুহিল! তাহার পরই একটা বড় খেজুর বাগানের পাশ দিয়া গাভী গিয়া একেবারে আষাঢ় যাইবার বাধা স্বাস্তার উপর উঠিল। গ্ৰাম শেষ হুইবার সঙ্গে সঙ্গে সর্বজয়ার মনে হইল ঘা কিছু দারিদ্র্য, ঘা কিছু হীনতা, যা কিছু অপমান সব রহিল পিছনে পড়িয়া—এখন সামনে শুধু নতুন সংসার, নতুন জীবনযাত্রা, नव माछाठ !•• ক্ৰমে রৌদ্র পড়িল-গাড়ী তখন সোনাভাঙার মাঠের মধ্য দিয়া যাইতেছিল। হরিহর মাঠের মধ্যেস্ব একটা বড় বটগাছ দেখাইয়া কহিল-ওই স্থাখো ঠাকুরবি পুকুরের ঠ্যাঙাড়ে বটগাছ। সৰ্ব্বজয়া তাড়াতাড়ি মুখ বাহির করিয়া দেখিল। পথ হইতে অল্প দূরেই একটা নাবাল জমির ধারে বিশাল বটগাছটা চারিধারে ঝুরি গাড়িয়া বসিয়া আছে। সেই বুদ্ধ ব্ৰাহ্মণ ও তাহার বালক-পুত্রের গল্প সে কতবার শুনিয়াছে। আজ হইতে পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে তাহার শ্বশুরের পূর্বপুরুষ এই রকম সন্ধাবোলা ওই বটতলায় নিরীহ ব্ৰাহ্মণ ও তঁহায় অবোধ পুত্রকে অর্থলোভে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করিয়া পাশের ওই নাবাল জমি, যেটা সেকালের ঠাকুরব্বি পুকুর ছিল-ওইখানে পুতিয়া রাখিয়াছিল। ছেলেটির মা হয় তো পুত্রের বাড়ী ফিরিবার আশায় কত মাস, কত বছর বৃথা অপেক্ষা করিত, সে-ছেলে আর ফিরে নাই-মাগো ! সৰ্ব্বজয়ার চোখ হঠাৎ জলে ঝাপসা হইযা আসে, গলায় কি একটা चट्टेकांद्देश बांध्र ! সোনাভাঙার মাঠ এ অঞ্চলেয় সকলের বড় মাঠ। এখানে ওখানে বনকোপ, শিমূল বাবুল গাছ, খেজুর গাছে খেজুর কঁাদি বুলিতেছে, সোদালি ফুলের ঝাড় দুলিতেছে, চারিধারে বৌ-কথা-কও পাপিয়ার ডাক। দূরপ্রসারী মাঠের উপর তিসির ফুলের রংএর মত গাঢ় নীল আকাশ উপুড় হইয়া পড়িয়াছে, দৃষ্টি কোথাও বাধে না, ঘন সবুজ ঘাসে মোড়া উচু নীচু মাঠের মধ্যে কোথাও আবাদ নাই, শুধুই গাছপালা-বনঝোপের প্রাচুর্য্য। আর বিশাল মাঠটাির খামগ্ৰসার, সম্মুখে কঁচা মাটির চওড়া পথটা গৃহশ্ৰাণী৷ উদাস বাউলের মত দুৱ হইতে দূরে আপন মনে আঁকিয়া র্যাকিয়া চলিয়াছে। একটু ঘুরে গিয়া বারাসে-মধুখালির বিল পড়িল। কোন প্রাচীন কালের নদী শুকাইয়া গিয়া জীবনের ধাত্রাপথের পদচিহ্ন রাখিয়া গিয়াছে, অন্তহিঁত BDDD DDB EE ggBL BBBB DB DD S gKg BB DBB D t D DDBD অপূৰ্ব আকাশের রংটা দেখিতে দেখিতে যাইতেছিল। বেলাশেষেন্তু স্বপ্নপটে আবার কত