পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vee विझ्ड-ब्रष्नांबर्नौ খোলপোতার রাস। বৌদিদির হাসিক্তয়া দৃষ্ট যেন একটু গৰ্ব্বমিশ্রিত হয়ে উঠল। কিন্তু বলা আবশ্যক যে, খোলপোতা বলে কোনো গ্রামের নাম এই আমি প্ৰথম অনলুম। অথচ বৌদির বাপের বাষ্ঠী, যেখানে এমন স্নাল হয়, সেই বিশ্ববিশ্রাত খোলাপোতার ভৌগোলিক অবস্থান সম্বন্ধে আমার অর্জত পাছে তার মনে ব্যথা দেয়, এই তয়ে বলে ফেললুম-ও ! সেই খোলাপোতায় ? ওটা কোন জেলায় ভাল*** বৌদিদির কাছ থেকে সাহায্য পাবার প্রত্যাশা করেছিলুম। কিন্তু দেখলুম। তিনি সে বিষয়ে নিব্বিকার। তার হাসি ভরা সরল মুখখানির দিকে চেয়ে আমার করুণা হ’ল, এ-সমস্ত জটিল ভৌগোলিক তত্বের মীমাংলা নিয়ে তাকে পীড়িত করতে আর আমার মান সরল না । বললুম-আচ্ছা বোঁধি, আসি তা হ’লে । বৌদিদি তাড়াতাড়ি ঘড়িার মুখ থেকে কলায় পাতে মোড়া কি বার করলেন। সেইটে আমার হাত দিয়ে বললেন-কাল চাপড়া ষষ্ঠীর জন্ধে ক্ষীরের পুতুল তৈরী করেছিলাম, আর গোটকতক কলায় বড় আছে, বাসায় গিয়ে খেণ্ড । চার-পাঁচ দিন জয় ভোগের পর একদিন পথ্য পেয়ে খুলে যাচ্ছি, বৌদিদির সঙ্গে দেখা ৷ আমার আসতে দেখে বৌদিদি উৎসুক দৃষ্টিতে অনেকদূর থেকে আমার দিকে চেয়ে ছিলেন। নিকটে যেতে জিজ্ঞাসা করলেন-এ কি বিমল, এমন মুখ শুকনো কেন ? বললুম-জার হয়েছিল বৌদিদি। বৌদিদি উত্ত্বেগের সুরে বললেন-ও, তাই তুমি চার-পাচ দিন আসিনি ফটে। আমি ভাবলাম, বোধ হয় কিসের ছুটি আছে। আহ তাই তো, বড় রোগ হয়ে গিয়েছ যে 贫瓦町1 তীর চোখেৰ দৃষ্টিতে একটা সত্যিকারের ব্যথা-মিশ্ৰিত মেহের আত্মপ্ৰকাশ বেশ বুঝতে পেরে ষনের মধ্যে একটা নিবিড় আনন্দ পেলুম। হেসে বললুম-ষে দেশ আপনাদের বৌদি, ধকবার অতিথি হলে আপ্যায়নের চোটে একেবায়ে অস্থির করে তুলবে। বৌদিদি জিজ্ঞাসা করলেন-আচ্ছা বিমল, ওখানে তোমায় রোধে দেয় কে ? আমি বললুম-কে আর রাধবে, আমি নিজেই। বৌদিদি একটু চুপ ক’রে রইলেন, তারপর বললেন-আচ্ছা বিমল, এক কাজ করে। না কোন ! আমি জিজ্ঞাসা করলুম-কি বৌদি ? তিনি বললেন-মাকে এই পূজোর দুটির পর নিয়ে এস। এরকমভাবে কি ক’রে বিদেশে কাটাবে বিমল ? লক্ষ্মীটি, চুটির পর মাকে অবিশিষ্ট করে নিয়ে এস। এই গীল্পের ভেতর অনেক বাৰ্টী পাওয়া যাবে। আমাদের পাড়াতেই আছে। না হলে অশ্বখ হ’লে কে একটু জল দেয় ? আচ্ছ হ্যা বিমল, খাজ যে পথ্য করলে, কে রোধে দিলে ? আমার হালি পেল, বলপুন-কে আবার দেবে যৌদি n নিজেই করলুম।