পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विष्ट्राँड-ब्रश्नांवनौ سيN জন্তে চঞ্চল প্ৰতীক্ষায় রয়েছে, অসীম নীল শৃঙ্গ বেয়ে যার উজ্জাম রহস্যম্ভৱা পথযাত্রা, সে জীবন একটু একটু চোখে পড়ে। “ভয় নেই, ব্যাঙ্কে টাকা জমিও না, অসময়ে দেখবার ভয়ে ব্যাকুলও হয়ে না। আমি অনন্ত জীবন তোমাদের জন্যে অপেক্ষা করছি। কোনো ভয় নেই, পৃথিবীর কোন শাস্তু, গ্ৰাম্য নদীর কূলের চিতায় তোমার হুশিয়ার জীবন যখন শেষ হয়ে যাবে সেদিন থেকে এ অসীম শূন্য অনন্ত রহস্য তোমার সম্পত্তি হয়ে দাঁড়াবে। আপনা। আপনিই হবে, কোন ব্যাক্ষে জমাবার কোনো প্ৰয়োজন নেই। জ্যোৎস্না ভালবাস ? ফুল, ফল, পাখী ভালবাস ? গান ভালবাস । পৃথিবীর ভাগ্যহত ছেলেমেয়েদের করুণ দুঃখের কাহিনী শুনে চোখে জল আসে ? মন আকুল হয়ে ওঠে । আৰ্ত্তের কান্না অনে মঙ্গমনস্ক হয়ে যাও ? তবে তুমি অনন্ত জীবনের উত্তরাধিকারী। তোমার সুখের সীমা হবে না। সে খুশি আনন্দের মধ্যে দিয়ে নয়, দুঃখের মধ্যে দিয়ে। নক্ষত্রে নক্ষত্রে দেখে বেড়িাও, কত দীন দরিদ্র, আতুর জীব কঠিন সংগ্রামে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নির্জন নদীর তীরে কেউ হয়ত বসে বসে কঁদিছে-ওদের চোখের জল মুছে দেবার চেষ্টা কো’র, তাদের সঙ্গে কেঁদো, সেই তোমার স্বৰ্গ হবে। চোথের জলেই এ বিশ্বসৃষ্টি ধন্থ হয়েছে। চোখের জল, কান্না, অত্যাচার না থাকলে বিশ্বের সৌন্দৰ্য্য থাকতো না। সব সুখ, সব পরিপূর্ণতা, সব ঐশ্বৰ্য্য, সব সন্তোষ, শান্তি, কেমন মরুভূমির মত ভয়ানক খ) খ্যা করতো - মাঝে মাঝে অর্জদের চোখের জলের শুষ্ঠামশাস্তিভার ওয়েসিস আছে বলেই তা করুণ মধুর হয়েছে। "জ্যোৎ স্থা যখন ওঠে, তখন অনেকদিন আগে ময়ে-যাওয়া ছেলের কথা-ভেবে-দেখবে, জ্যোৎস্কা মধুর করুণ হয়ে আসছে পাখীর গানে করুণ গৌরীর উদাস, মীড় ধ্বনিত হচ্ছে। ষে বুড়ীটা গ্রামের পাঁচজনের বাঁটালাথি খেয়ে কিছুদিন আগে ঘরে ছেড়া কঁথাখার মধ্যে স্থল অভাবে মৃত্যুকৃষ্ণ নিবারণ করতে না পেয়ে মরেছিল তার কথা ভেবো-মন উদার শোক ও শাস্তিতে ভরে আসবে-জগতের পবিত্র কারুণ্যের, আশাহত ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে আনস্তুের অনাহত ধ্বনি কানো বাজবে। ষে পরের ব্যথায় কঁাদিতে শেখেনি জগতে সে অতি দুৰ্ভাগা । এক অতি অদ্ভুত জীবনরস থেকে সে বঞ্চিত হয়ে আছে।” কুকুরের ঘেউ ঘেউ যেন একটু থেমেছে। অন্ধকার বেন আরও একটু গভীর হয়েছে। তারাটা আরও নেমে গিয়ে গাছের ডালের আড়ালে পড়েছে-কি রুদ্র প্রচণ্ড তাণ্ডব গতি কি শান্ত নিরীহতার আড়ালেই গ্রচ্ছন্ন রয়েছে। বির বির বাতাসে নিমফুলের গন্ধ আসছে - বাতাবী লেবুর্কুলের গন্ধ আসছে। তখনও আবার ফান্তন চৈত্র মাসে পাড়াগায়ের বনে বনে ঘেটু ফুল ফোটে, বৈঁচিগাছের OOB DB BBD KKDS iB BDDD DBDS KBD DDBD DDBDB BDuuB BD DBDBBD S কিন্তু তারা আর নেই, সময়ের পাষাণবন্ধু বেয়ে তারা কোথায় কতদূর চলে গিয়ে কোন দূর অতীতে মিশে গিয়েছে। , ,ਚ