পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98. दिङ्गडि-मध्नांदगी একটি ‘লিরিক, ঠাসবুনোট একখানি উপন্যাস, বিপুলতম যার ব্যঞ্জনা, যেখানে বাস্তব জীবননাট্যের বিচিত্র কলকোলাহল, উত্তেজনা ধ্বনিত হয়েছে,-আমাদের জীবনে এ সবের জন্তে বিশেষ স্থান নির্দিষ্ট করে রাখা কি এতই দরকায় ? উত্তর হচ্ছে, দরকার,-অত্যন্ত বেশী দরকার আরো এই জন্যে যে, এইসব প্রশ্ন এখনো আদৌ ওঠে। তেল-চুন-লকুড়ির কারবার করতে করতে আমাদের অনেকেরই দিন আসে মিলিয়ে । বাধা রাস্তায় আমরা জন্মাই এবং মারি-দু-পাশের এই দুই রকম পরিচ্ছেদের মাঝখানের রাস্তাটায় আমরা অনেকেই ষে ভাবে S CsLLB BB BDDD uDBDBDB BDDD DDD DDD S BBDB Luu BBLBD i DBTS অভ্যাসে বন্ধ ঝিমিয়ে-আসা মনের পক্ষে আকাশ-স্বরূপ, দিগন্তু এখানে অত্যন্ত বিস্তৃত, আৰহাওয়া সর্বদাই উজ্জ্বল, অজস্র খোলা জানিলা দিয়ে অদৃশ্য কেন্দ্র থেকে প্রতিক্ষণে দিব্য যৌবনময় আলো অ্যাব চেতনা এসে ৰূবে ঝরে পড়ে। এখানে জীবন অহরহ আপনাকে অত্যন্তু ঘন স্বরে বিকশিত করে। জীবনেব। এই অতি-বিরাট পটভূমিকার জগতে এসে পাঠক এক মুহুর্ঘ্যে আপনাকে বড় কয়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনের পারিপাৰ্থিকতার সহস্ৰ ক্ষুদ্রতা ক্লেদ শ্লানি পিছনে পড়ে থাকে-মানুষ খানিকক্ষণের জন্য অন্ততঃ খণ্ড কাল ও দেশেব অতীত এক জ্যোতিৰ্ম্ময় চেতনাস্তরের মধ্য দিয়ে অববাহিত হয়ে আসে ; প্ৰত্যেকেব। আত্মসত্তার এই যে বিস্তারের সম্ভাবনা, কাব্য ও সাহিত্য, তথা আর্টের অন্যান্য বিভাগ, এতে প্ৰত্যেককে অত্যন্তু প্ৰত্যক্ষৰূপে সহাযত করে । সাহিত্য আরো অনেক কিছু করে। প্ৰত্যেক মানুষেব মধ্যেই কম বেশী পরিমাণে একটি মানুষ আছে, যে নাকি স্বপ্ন দেখে, ম্বে নাকি অন্ততঃ কোন কোন ক্ষণেব জুন্তেও আদর্শবাদের দ্বীত্র প্রেরণা অনুভব করে, যে অতীত স্থতির অনুধ্যানে সাহসী উন্মনা হয়, ভবিষ্যতের কল্পনার নেশার মতন হয় আসক্ত-রস-সাহিত্যের একটি প্রধানতম কাজ হচ্ছে, প্রত্যেকের ভেতরকার এই স্বপ্নালু লোকটির তৃপ্তিবিধান করা । তা ছাড়া-কথা-সাহিত্যিক সমসাময়িক সমাজ বা রাষ্ট্রনৈতিক অবস্থায় পরিপ্রেক্ষিতে দেশকালান্তরিত জীবনের ছবি আঁকেন। তাতে করে, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে যে মানুষটি তার নিজ যুগের মানুষ অ্যাব ঘটনাবলী সম্বন্ধে খুব উৎসুক, তার কৌতুহল মেটে। সাহিত্য আমাদের কল্পনা ও অনুভববুদ্ভিকে উজ্জীবিত করে। এর মননশীল দিক প্রধানতঃ জীবন-সংগ্রামে ও সভ্যতার সংগঠনে আমাদেয় শক্তি ধোগায়, এবং রস-সাহিত্যের সাধনা হচ্ছে অবিচ্ছিন্নভাবে সে আমদের রূপীকরণ ও পরিবেশন, যে মূল লীলার আনন্দের প্রেরণায় জীবনের হল উৎপত্তি-সুখদুঃখ হৰ্যবেদনা প্ৰেমকীতি ক্ষয়মৃত্যু সব ব্যেপে এবং ছাড়িয়ে যে’নৈর্ব্যক্তিক আনন্দসন্তা জীবনের সঙ্গে সমাস্তুয়ালিভাবে প্রতিক্ষণে আপনাকে প্রবাহিত করে চলেছেন, একটু একটু কবে মেলে ধরছেন। কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পী যত কথা বলেন তার মৰ্ম্ম এই যে, আমাদের ধরণী ভারী সুন্দর-একে বিচিত্র বললেই বা এর কতটুকু বোঝান হল, আমাদের এই দৃষ্টিটি বারে বারে ঝাপসা হয়ে আসে, প্ৰকৃতির বাইরেকার কাঠামোটাকে দেখে আমরা বায়ে বারে তাকে রিয়ালিটি বলে স্কুল করি, জীবন-নদীতে অন্ধ গতানুগতিকতার শেওলাদাষ জমে, তখন আর লোত চলে না, তাই তো