পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বিভূতি-রচনাবলী “পথের পাঁচালী” প্রসঙ্গের উল্লেখ বিভূতিভূষণের আরও একটি চিঠিতেও পাওয়া যায়। বিভূতিভূষণ ১৯৪০ খ্ৰীষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। ভাৰী পত্নী শ্ৰীযুক্তা রমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'লিথিয়াছিলেন : “আমার যখন তোমার বয়েস (সে যুগের কথা অবস্থিত), তখন বনগায়ের বোড়িংয়ে থেকে পড়ি, বারাকপুর ছেড়ে এসে মায়ের জন্তে বাবার জন্তে বিশেষ করে বারাকপুরের মদীতীর, গাছপালার জঙ্গে আমার মন খারাপ হোত এবং পুরনো দিনের কথা মনে পড়তে। যখন আমি ভাগলপুরে কাজ করি তখনও বারাকপুরের জন্যে মন কেমন করতো, তা থেকেই বোধ হয়। পথের পাঁচালীর উৎপত্তি । “চিরকাল বারাকপুর ভালবাসি। কেউ নেই সেখানে আপনাব বলতে, তবুও যে যাই সেখানে, সে শুধু বারাকপুরের প্রকৃতির টানে, কি জানি কি দিয়ে আমার মন বেঁধেচে ওখানকার পঞ্জীপ্ৰকৃতি। যদি সম্ভব হয় একদিন ছুটিতে তোমাদের ওখানে যাবে নিয়ে। was No catase war afik বিভূতিভূষণের জীবনের একেবারে শেষের দিকের মুদ্রিত দিনলিপি ‘হে অরণ্য কথা কও’-তেও বাল্যস্থতি এবং স্ব গ্রামের প্রতি ভালবাসার কথা পাওয়া যায়। স্বারান্দা অরণ্যের নিৰ্জন নিস্তব্ধতার মধ্যে বনবিভাগের অরণ্য-আবাসে অবস্থানকালে একদিন শেষ রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙিয়া তাহার বাল্যকালের কথা এবং গ্রামের সৌন্দৰ্য্যের কথা মনে পড়িয়া सक्ष * "রাত সাড়ে চারটায় উঠলুম, বাইরে গেলুম। জ্যোৎস্না উঠোঁচে, কালকের মত শুকতারা জলজল করচে, দূরের পাহাড়ের মাথার দিকে চেয়ে বাল্যের বারাকপুরের বঁাশবনে বাড়ি, বাবা যার কথা মনে এলি। শৈশবের সমস্ত অবস্থা- আমাদের দারিদ্র্য, বালক হয়ে আমায় সমস্ত মনের ভাব যেন আমাকে পেয়ে বসলো শেষ রাত্রে। জীবন কি অপূৰ্ব ! কি অমৃতময়— জন্মে জন্মে শত শত বারাকপুরের মধ্য দিয়ে শতবৈচিত্ৰ্য, পিতামাতার কোলে বার বার আসি যাই ক্ষতি কি ? শুধু যেন বিশ্বদেবকে মনে রাখি, অনন্ত বৈচিত্ৰ্য দেখবার যেন চোখ পাই।।” (“হে অরণ্য কথা ক’s', বি. রা, ৭ম, পৃ. ৪৩৫ । ) পঞ্জীপ্ৰকৃতির রূপমুগ্ধ বিভূতিভূষণ উহার 'তৃণাঙ্কুর’ দিনলিপিতে মুক্তমনেই স্ব গ্রামের প্ৰতি পক্ষপাতিত্বের কথা লিখিয়াছেন : “মনে মনে তুলনা করে দেখলুম। এ ধরণের বৈকাল সত্যিই কোথাও দেখিনি- এইতো পাশেই চালকী, ওখানে এরকম বৈকাল হয় না। এত পাখী সেখানে নেই, এ ধরণের এত বেলগাছ নেই, সেঁন্দালি ফুল নেই, বনজঙ্গল বড় বেশী, এতদিন তর্ত লক্ষ্য করিনি, কালি লক্ষ্য করে দেখে মনে হোল সত্যিই তো এ জিনিস আর কোথাও দেখিনি তো ! দেখবোও না।--কেবলমাত্র সেখানে দেখা যাবে যেখানকার অবস্থাগুলি এর পক্ষে অনুকূল। ইসমাইলপুর, আজমাবাদ লাগে না। এর কাছে- সে অন্য ধরণের-প্ৰাচুৰ্য্য বৈচিত্র্য ও কারু și FA-FRANS), tšDA SEAWDY RA Y ܩܕܡ