পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

× e 8 বিভূতি-রচনাবলী হাজারি-দা, এসে তোমায় কোলে করে নাচি । এক অস্ত্রে বেচু চক্ষত্তি বধ, পদ্মদিদি বধ, ধন্থ বাড়ুধ্যে বধ— —চুপ, চুপ,—চলে ছুটির পর দুজনে ঘর দেখা যাক। তামাকের দোকানের পাশে ওই ঘরখানা ন’টাকা ভাড়া বলে। জায়গাটা ভাল। আচ্ছা, বাজার কেমন, বংশী ? —বাজার ভালো। নতুন আলু সস্তা হোলে আরও স্ববিধে হবে। নতুন আলু উঠলে বলে । কেবল মাছটা এখনও আক্রা-- —ঘর দেখার পর একটা ফৰ্দ্দ করে ফেলা ষাক এসো। থালা বাসন, বালতি, জালা, শিলনোড়া, বঁট— —আজ খাওয়াও হাজারি-দা। মাইরি, একটা কাজের-মত কাজ করলে। আচ্ছা টাকা পেলে কোথায় বল না ? —পরে বলবো সব । তার ঢের সময় আছে। এখন আগেকার কাজ আগে করে । পদ্মঝি হঠাৎ রান্নাঘরে ঢুকিয়া বলিল—বেশ তো দুটিতে বসে খোসগল্প চলছে। উদিকে মাছ ডাঙায়, তরকারি ডাঙায়—এখুনি লোক খেতে আসবে— গোবর চাকর ইrকিল—থাড়, কেলাস একথালা— পদ্মঝি বলিল—ওই ! এলো তো ? এখন মাছ ভাজা পৰ্য্যস্ত হোল না ধে তাই দিয়ে ভাত দেবে। এদিকে গাজার ধোয়ায় তো রান্নাঘর অন্ধকার—সব তাড়াতে হবে তবে হোটেল চলবে। কর্তার খেয়েদেয়ে নেই কাজ তাই ষত হাড়হাভাতে উনপাজুরে গাজাখোর আবার জুটিয়ে এনে হাতাবেড়ি হাতে দিয়েছে— বংশী ঠাকুর বলিল—রাগ করে কেন পদ্মদিদি, কাল রাতের বাসি মাছ ভেজে রেখেছি— থাড়, কেলাসের খদের যারা সকালে খায়, তাই চিরকাল খেয়ে আসছে। হাজারি বংশীর দিকে চাহিয়া বলিল—ন বংশী দই এনে দাও সেও ভাল। বাসি মাছ দিও ন—ওডে নাম খারাপ হয়ে ধায়—ও থাক । পদ্মঝি বাজের সহিত বলিল—দইয়ের পয়স তুমি দি ও তবে ঠাকুর । হোটেল থেকে দেওয়া হবে না। তুমি বেলা করে বাড়ী থেকে এলে বলেই মাছ হোল না। বংশী ঠাকুর একা কত দিকে যাবে ? হাজারি চুপ করিয়া রহিল। হোটেলের ছুটির পর হাজারি চুণীঘাটে যাইবার পথে রাধাবল্লভতলায় বার বার নমস্কার করিয়া গেল । ঠাকুর রাধাবল্লভ এতদিন পরে ধেন মুখ তুলিয়া চাহিয়াছেন। তাহার সেই প্রিয় গাছটির তলায় বসিয়া হাজারি কত কি কথা ভাবিতে লাগিল । অতসী টাকা দিয়া দিয়াছে, তাহার বাড়ী বহিয়া আসিয়া টাকা দিয়া গিয়াছে—হয়তো সে হোটেল খুলিতে দেরি করিড, কিন্তু আর দেরি করা চলিবে না। অতসী-মায়ের কাছে কথা দিয়াছে, সে কথা রাখিতে एहेरबहे छांक्षांरक । স্বাণাঘাট বেশ লাগে তাহার, বেচুবাবুর হোটেল তো একমাত্র জায়গা যেখানে তাহার মন