পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দুহোটেল Yo (t ভাল থাকে, জীবনটা শাস্তিতে কাটাইতেছি বলিয়া মনে হয়। এই রাণাঘাটের রেলবাজার ছাড়িয়া সে কোথাও যাইতে পারিবে না। এখানেই হোটেল খুলিবে, অন্যত্র নয়। বৈকালের দিকে সে কুস্কমের বাড়ী গেল। কুহুম বলিল—আজকে এলেন ? আস্বন, বস্থন । হাজারি হাসিমুখে বলিল—একটা জিনিস রাখতে হবে মা । —কি ? হাজারি পেট-ৰ্কোচড় হইতে দু’শো টাকার নোট বাতির করিয়া বলিল—রেখে দাও । কুকুম অবাক হইয়া বলিল—কোথায় পেলেন ? —ভগবান দিয়েছেন । হোটেল খুলবার রেস্ত জুটিয়ে দিয়েছেন এতদিন পরে—এই দু’শো, আর তোমার দু’শো, সামনের মাসেই খুলবো ভাবছি। –এ টাকা কে দিলে জ্যাঠামশায় বললেন না আমায় ? --তোমার মত আর একটি মা। —আমি চিনিনে ? —আমাদের গায়ের বাবুর মেয়ে অতসী। বলবো সে সব কথা আর একদিন, আজ বেলা যাচ্ছে, আমি গিয়ে ভেক চাপাই গে—টাকা রেখে দাও এখন । হোটেলে আসিয়া বংশীকে বলিল—তোমার ভাগ্লেটিকে চিঠি লিখে আনাও বংশী। তাকে গদিতে বসতে হবে। লেখাপড়ার কাজ তো আমায় বা তোমায় দিয়ে হবে না । বংশী বলিল—সে তো বসেই আছে হাজারি-দণ । একটা কাজ পেলে বেঁচে যায় । আমি আজই লিখছি আর ঘর আমি দেখে এসেছি—তামাকের দোকানের পাশে ঘরটা ভাল— ওইটেই নাও । লেগে যাও দুর্গ বলে । দিন দুই পরে একদিন সকালে পদ্মঝি বলিল—ও ঠাকুর, শুনে রাখো, আজ কোথাও যেও না সব ছুটির পরে। আজ ও-বেলা সত্যনারারণের সিপ্লি—খদেরদের ভাত দেবার সময় বলে দিও ও BBBS SBB BBBSBB BBBBS BBSBBB BBB BB BBBBB BBBBBBB BBB BBBS বংশী ঠাকুর হাজারির দিকে চাহিয়া হাসিল—অবহু পদ্মঝি চলিয়া গেলে । ব্যাপারটা এই, হোটেলের এই যে সত্যনারায়ণের পূজা, ইহা ইহাদের একটি ব্যবসা । যাহারা মাসিক হিসাবে হোটেলে খায় তাহাদের নিকট হইতে পূজার নাম করিয়া চাদ বা প্ৰণামী আদায় হয়। আদায়ী টাকার সব অংশ ব্যয় করা হয় না বলিয়াই হাজারি বা বংশীর ধারণা। অথচ, সত্যনারায়ণের প্রসাদের লোভ দেখাইয়া দৈনিক নগদ খরিদার যাহারা তাহাজেরও রাত্রে আনিবার চেষ্টা করা হয়—কারণ এমন অনেক নগদ খরিদার আছে, যাহারা একবেলা হোটেলে খাইয়া যায়, ভূ-বেলা আসে না । ৰংশী ঠাকুর পরিবেশনের সময় প্রত্যেক ঠিক খরিদারকে মোলায়েম হাসি হাসিয়া বলিতে লাগিল—জাঙ্গে বাৰু, ও-বেলা সত্যনারাণ হবে হোটেলে, আসবেন ও-বেলা—অবিপ্তি করে আলবেন—