পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী "לצל ধরন-ধারণ যেন স্কুলে পড়া আধুনিক মেয়েছেলের মত। সে কাপড় গুছাইয়া পরিতে জানে, সাজিতে গুজিতে জানে, তার কথাবাৰ্ত্তার ভঙ্গিটাও বড় চমৎকার । তাহার খাওয়া প্রায় শেষ হইয়াছে এমন সময় হাজারি অসিল । বলিল—খাওয়া হয়েছে ৰাবা, আমি আসতে পারলাম না—আজ আবার ভিড় বড়ড বেশী । 尊 —ও টেপি আমায় একটু তেল দে মা, নেয়ে নিই, আর তোর ঐ দাদার শোওয়ার জায়গা করে দে দিকি—পাশের ঘরটাতে একটু গড়িয়ে নfও বাবা । ংশীর ভাগ্নে গিয়া শুইয়াছে—এমন সময় টেপি পান দিতে আসিল । পানের ডিবা নাই, একখানা ছোট রেকাবিতে পান আনিয়াছে। ছেলেটি দেখিল চুন নাই রেকাবিতে। লাজুক মুখে বলিল—একটু চুন দিয়ে যাবেন ? টে পির সারা দেহ লজ্জার আনন্দে কেমন যেন শিহরিয়া উঠিল। তাহার প্রথম কারণ তাহার প্রতি সন্ত্রমস্থচক ক্রিয়াপদের ব্যবহার এই হইল প্রথম । জীবনে ইতিপূৰ্ব্বে তাহাকে BBB SBBBSS SBBSS BBB BB BBB BBS BBBB BBBB BBBB BBB BBBB তাহার সহিত ইতিপূৰ্ব্বে কথা বলে নাই। বলে নাই কি একেবারে ! গায়ের রামুদ, গোপাল-দ, জহরু-দা-ইহারা ও তাহার সঙ্গে তো কথা বলিত । কিন্তু তাহাতে এমন আনন্দ তাহার হয় নাই তো কোনোদিন ? চুন আনিয়া রেকাবিতে রাখিয়া বলিল—এতে হবে ? —খুব হবে । থাক ওখানেই—ইয়ে, এক গেলাস জল দিয়ে যাবেন ? টেপির বেশ লাগিল ছেলেটিকে। কথাবাৰ্ত্তার ধরন যেমন ভাল, গলার স্বরটিও তেমনি মিষ্ট । যখন জলের গ্লাস আনিল, তখন ইচ্ছা হইতেছিল ছেলেটি তাহার সঙ্গে আর একবার কিছু বলে । কিন্তু ছেলেটি এবার আর কিছু বলিল না । টেপি জলের গ্লাস নামাইয়া রাখিয় চলিয়া গেল । বেলা যখন প্রায় পাচটা, বৈকাল অনেক দূর গড়াইয়া গিয়াছে - টেপি তখন একবার উকি মারিয়া দেখিল, ছেলেটি অঘোবে ঘুমাইতেছে। হঠাৎ টেপির কেমন একটা অহেতুক স্নেহ আসিল ছেলেটির প্রতি । আহা, হোটেলে কত বাত পর্য্যস্ত জাগে । ভাল ঘুম হয় না রাত্রে ! টে পি আসিয়া মাকে বলিল—ম সেই লোবট এখনও ঘুনুচ্ছে। ডেকে দেবো, না যুমুবে । টেপির মা বলিল--ঘুমুচ্ছে ঘুমুক না । ডাকবার দরকার কি ? চাকরটা কোথায় গেল ? ঘুম থেকে উঠলে ওকে কিছু খেতে দিতে হবে : খাবার আনতে দিতাম। উনিও তো বাড়ী নেই । টেপি বলিল—লোকটা চা খায় দি না জানিনে, তাহলে ঘুম থেকে উঠলে একটু চা করে দিতে পারলে ভাল হোত । টেপির মা চা নিজে কখনো খায় নাই, করিতেও জানে না। আধুনিক মেয়ের এ প্রস্তাব তাহার মন্দ লাগিল না ।