পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S Φb" বিভূতি-রচনাবলী थांश्क छूनि बाघ्नौ ७ट्न छ्वनरकहे नानन করে দিয়েছ—পটলেরও একটা ভয় আর লজ হবে—সে হঠাৎ এ বাড়ীতে আসতে পারবে না। —কিন্তু তাতে একটা বিপদ আছে। গায়ের লোকের কথা আমিই বা অনর্থক গায়ে মেখে নিতে যাই কেন ? তাতে উণ্টো উৎপত্তি হবে না ? 象 –কিছু উন্টে উৎপত্তি হবে না। বেশ, ভয় দেখিয়ে, না হয় মিষ্টি কথায় বুঝিয়ে বৃলো পটলকে। যখন এরকম একটা কথা উঠেছে—তখন ভাই আমাদের বাড়ী আর তোমার ৰাওয়া-আসাটা ভাল দেখায় না--এই ভাবে বল । —তাই তবে করি । এদিকে আর একটা কথা বলি শোনো। বলাইয়ের অবস্থা ভাল নয়। আজ দেখে বুঝলাম ও আর বেশী দিন নয়। —বল কি গো । অমন বলতে নেই । —জার বলতে নেই! মনোরমা, সামনে আমার অনেক বিপক্ষ আসছে আমি বুঝতে পেয়েছি। এই বীণার ব্যাপার, বলাইয়ের চেহারা—এ সব দেখে তোমারই বা কি মনে হয় ? আমার এখন পলাশপুরে যাওয়া হয় না।. . সেই রাত্রেই বিপিনের আশঙ্কা বাস্তবে পরিণত হইল। শেষ রাত্রি হইতে বলাই হঠাৎ যন্ত্রণায় অস্থিয় হইয়া পড়িল, মাঝে মাঝে চিৎকার করে, মাঝে মাঝে ছুটিয়া বাহির হইতে ৰায়। প্রতিবেশীরা অনেকে দেখিতে আসিলেন—নানারকম টোটক ওষুষের ব্যবস্থা করিলেন–কিছুতেই কিছু হইল না। যত বেলা বাড়িতে লাগিল, বলাইএর মূখের বুলিই হইল—জলে গেল, জলে গেল ! - “যন্ত্রণায় বলাই যেন পাগলের মত হইয়া উঠিল, মুখে বাহ। আসে বকে, হাত-পা ছোড়ে, আর কেবলই ছুটিয়া বাহির হইতে বায় । তিন দিন তিন রাত্রি একই ভাবে কাটিল। কত রকম তেল-পড়া, জল-পড়া, ঝাড়ফুক ষে বাহা বলে তাহাই করা হইল। কিছুতেই কিছু হইল না। চতুর্থ দিন সকাল আটটার সময় হইতে বলাইয়ের অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হইয়া আসিতে লাগিল । * বিপিন স্ত্রীকে ডাকিয়া বলিল—কি করচো ? মনোরমার চক্ষু রাত জাগিয়া লাল, চোখের নীচে কালি পড়িয়াছে—বৃদ্ধা শাশুড়ী রাত জাগিতে পারেন না—বিপিনও আয়েসী লোক, রাত একটা পৰ্য্যন্ত কায়ক্লেশে জাগিয়া থাকে— তারপর গিয়া শুইয়া পড়ে। মনোরমা সারারাত জাগিয়া থাকে রোগীর পাশে - জার থাকে বীণা। মনোরম বলিল-গোয়ালে জাজ চারদিন বাট পড়েনি, গোয়ালটা একটু বাট দিচ্ছি। বিপিন বলিল—গোয়াল বাট থাকুক। সকাল সকাল নেয়ে এসে ছুটে বা হয় রোধে ছেলেপিলেজের খাইয়ে দাইয়ে নাও-বীণাকে আর মাকে খাইয়ে দাও। বলাইয়ের অবস্থা দেখে বুঝতে পারছ না ? মনোরম স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয় বলিল, কেন গো-ঠাকুরপোর অবস্থ৷ খারাপ ।