পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী ه مراج তাহাকে যেন কি একটা নেশায় পাইয়াছে, কিসের ঘোরে সে কাজ করিয়া যাইতেছে সে নিজেই জানে না। আরও আধ ঘণ্টা পরে রোগী চোখ মেলিয়া চাহিল। রোগীর চোখের চাহনি দেখিয়া বিপিনের মন আহলাদে নাচিয়া উঠিল যেন, সে লোকজন ঠেলিয়া বাহিরে গিয়া দেখিল যত্ন ডাক্তার উঠানের গোলার তলায় দাড়াইয়া বিডি টানিতেছে ও কয়েকজন গ্রাম্য লোকের সহিত কি কথা বলিতেছে। –আস্কন যদুবাবু, একবার নাড়ীটা দেখুন তো! আর ভয় নেই, সামলে নিয়েছে। যদু ডাক্তার আসিয়া রোগী দেখিয়া বলিল, বেঁচে গেল এ যাত্র। ওকে যমের মুখ থেকে টেনে বার করলেন মশাই । যে ঘরে রোগী শুইয়া আছে, সে ঘরের মেঝেতে বন্যার জল কিছুদিন আগেও ছিল প্রায় একইাটু, বঁাশের মাচার উপর রোগী শুইয়া, ঘরের চারিদিকে চাহিয়া বিপিন দেখিল কয়েকটি দড়ির শিকা এবং ছেড়া কাঁথার পুটুলি ও হাড়িকুড়ি ছাড়া অন্য আসবাব নাই। ইহাদের কাছে ভিজিটের টাকা লইতে পারা যায় ? বিপিন ও যদু বাহিরে চলিয়া আসিল ৷ যদু বলিল, একটা ডাব খাবেন ? ওরে ব্যাটার ইদিকে আয়, ডাক্তারবাবুকে একটা ডাব কেটে খাওয়া। গ্রামস্বদ্ধ লোক কুকিয়া পড়িয়া বিপিনের চিকিৎসা দেখিয়াছিল। সকলে বলাবলি করিতে লাগিল, এত বড় ডাক্তার বা এমন চিকিৎসা তাহারা জ্ঞানে কখনও দেখে নাই । যন্ধু তাক্তার লোকটা চালাক, দেখিল এ স্থানে বিপিনের প্রশংসা করিলেই সে নিজেও খাতির পাইবে, নতুবা লোকে ভাবিবে যদু ডাক্তারের হিংসা হইয়াছে। স্বতরাং সে বক্তৃতার স্বরে সমবেত লোকজনের সামনে বলিল, ডাক্তার অনেক দেখিচি, কিন্তু বিপিনবাবুর মত সাহস কোন ডাক্তারের দেখিনি। হাজার হোক পেটে বিদ্যে আছে কিনা ? ভয়ডর নেই কিছুতেই। একজন লোক গোটাচারেক কচি ডাব কাটিয়া আনিল। বিপিন বলিল, আমাদের ডাব তো দিচ্ছ, রোগীকে এখন অনবরত ডাবের জল দিতে হবে, সে তৈরী আছে তো ? —খান বাবু, আপনাদের ছিচরণ আশীব্বাদে দশটা নারিকেলের গাছ বাড়ীতে। বাবু, শহর বাজার হ’লি এই গাছ কড়ার ফল বিক্ৰী করে বেশ কিছু প্যাতাম, এখানে জিনিসের দর নেই। কাপাসডাঙার হাটে ডাব একটা এক পয়সা তাও থদের নেই। 8 ফিরিবার সময় বিপিন ভিজিট চাইতে চাহিল না। যদু ডাক্তার অনেক করিয়া বুঝাইল, পাড়াগায়ে সবই এই রকম অবস্থার মানুষ। তাহা হইলে চলিবে কি করিয়া যদি ইহাদের मिक छिछिक्कै मो लeग्न] शाश्न ?