পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ বিভূতি-রচনাবলী দয়া কিসের ? কৰ্ত্ত ওই রকম ভালমানুষ সদাশিব লোক বলিয়াই তো আজ পথের কুকুর সব মাথা চাড়া দিয়া উঠিয়াছে।•••দয়া ! একদিন রাণাঘাটের স্টেশন মাস্টার হাজারিকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। হাজারি নিজে যাইতে রাজী নয়—কারণ স্টেশন মাস্টার সাহেব, সে জানে। নরেন যাওয়াই ভাল। অবশেষে তাঙ্গাকেই যাইতে হইল ! নরেন সঙ্গে গেল । সাহেব বলিলেন—টোমার নাম হাজারি ? হিণ্ডু হোটেল রাখে বাজারে ? —হঁ্য হুজুর । —টুমি প্ল্যাট্রফৰ্ম্মে কেটার করবে ? হিণ্ডু ভাত, ডাল, মাছ, দহি ? হাজারি নরেনের মুখের দিকে চাহিল । সাহেবের কথা সে বুঝিতে পারিল না। নরেন ব্যাপারটা সাহেবের নিকট ভাল করিয়া বুঝিয়া লইয়া হাজারিকে বুঝাইল । রেলযাত্রীর সুবিধার জন্য রেল কোম্পানী স্টেশনের প্লাটফৰ্ম্মে একটা হিন্দু ভাতের হোটেল খুলিতে চায়। সাহেব হাজারির নামডাক শুনিয়া তাহাকে ডাকিয়া পঠাইয়াছে । আপাতত: দেড়শো টাকা জমা দিলে উহারা লাইসেন্স মঞ্জুর করিবে এবং রেলের খরচে হোটেলের ঘর বানাইয়া দিবে। হাজারি সাহেবের কাছে বলিয়া আসিল সে রাজী আছে । স্টেশন মাস্টার নরেনকে একখানা টেণ্ডার ফর্ম দিয়া ঘরগুলি পুরাইয়া হাজারির নাম সই করিয়া আনিতে বলিয়া দিলেন । স্টেশনের এই হোটেল লইয়া তারপর জোর কমপিটিশন চলিল। নৈহাটির এবং কৃষ্ণনগরের দুইজন ভাটিয়া হোটেলওয়াল টেণ্ডার দিল এবং ওপরওয়ালা কৰ্ম্মচারীদের নিকট তদ্বিরতাগাদাও শুরু করিল। নিজ রাণাঘাটের বাজারে এ খবরটা কেহ রাখিত না—শেষের দিকে, অর্থাৎ যখন টেণ্ডারের তারিখ শেষ হইবার অল্প কয়েকদিন মাত্র বাকী, যদু বাড়ধ্যে কথাটা শুনিল । স্টেশনের একজন ক্লার্ক যদুর হোটেলে খায়, সেই কি করিয়া জানিতে পারিয়া যদুকে বলিল—একটু চেষ্টা করুন না। আপনি—টেণ্ডার দিন । হয়ে যেতে পারে । ধন্থ চুপি চুপি টেণ্ডার সই করিয়া পাঁচ টাকা টেণ্ডারের জন্য জমা দিয়া আসিল । সেদিন বেচু চকত্তি সবে হোটেলের গদিতে আসিয়া বসিয়াছে এমন সময় পদ্মঝি ব্যস্তসমস্ত হইয়া আসিয়া বলিল—শুনেছ গো ? শুনে এলাম একটা কথা— —কি ? —ইস্টিশানে ভাতের হোটেল খুলে দেবে রেল কোম্পানি, দরখাস্ত দাও ন কওঁ । —ইটিশনে ? ছো, ওতে খদের হবে না । দূরের ধাত্রীদের মধ্যে কে ভাত খাবে ? সব কলকাতা থেকে খেয়ে আসবে— —তোমার এই সব বসে বসে পরামর্শ আর রাজা-উজার মারা ; সবাই দূরের যাত্রী থাকে KSBBS BB BBB BBB BBB DgggS ggS ggS BBB BB BB BB BBBBB ৰাম—তারা এখানে ভাত পেলে এখানেই খেয়ে যাবে । শুনলাম বাড়ধ্যে মশায় নাকি দর