পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రీలు বিভূতি-রচনাবলী ষে ‘আপনি জাঙ্গে স্বরু করেছিলে! আমার দেওরকে কলকাতায় পাঠিয়েচি চতুর্থীর খাদ্ধের জিনিসপত্র কিনতে। এখানে না এসে এক্টিমেট ঠিক না করে তো আগে থেকে জিনিসপত্র কিনে আনতে পারিনে । --লে কবে ? 廳 —কাল রাত পোয়ালেই। ভালোই হয়েচে তুমি এসেচ । আমার কাজের দিন তোমাকে পেয়ে আমার সাহস হচ্চে। দেখার কেউ নেই-তুমি দেখে শুনে যাতে ভালভাবে সব মেটে, নিন্দে না হয় তার ব্যবস্থা করে । —তুই এখানে এসেছিলি আরও আমি চলে গেলে ? —স্থ – কতবার এসেচি গিয়েচি— —আমার কথা মনে হোত ? —বাপরে ! প্রথম যখন আসি তখন টিকতে পারিনে বাড়ীতে। সেই যে আমি স্বাগ করে ওপরে গেলাম, তার পরেই সকালে উঠে দেখি তুমি রাণাঘাটে চলে গিয়েচ-জার কোনদিন দেখা হয়নি তারপর -সেই কথাই কেবল মনে পড়তে । —আচ্ছা, কলকাতায় থাকলে আমার কথা মনে পড়ে ? —পড়ে না যে তা নয়। কিন্তু সত্যি বলতে গেলে কলকাতায় ভুলে থাকি পাচ কাজ নিয়ে। সেখানে তুমি কোনোদিন যাওনি, সেখানকার বাড়ীম্বরের সঙ্গে যাদের যোগ ৰেণী, তাদের কথাই মনে হয়। কিন্তু এখানে এলে—বাপরে । আচ্ছ, চ খেয়ে একটু বাইরে গিয়ে দেখাশুনো কর, আমি এরপর তোমার সঙ্গে কথা বলবো আবার । এখন বড় ব্যস্ত— রাত্রে বিপিন পুরানো দিনের মত রান্নাঘরে বসিয়া খাইল, পরিবেশন করিল মানী নিজে । আহারাস্তে বাহির হইয়া আসিবার সময় বিপিন দেখিল, মানী কখন আসিয়া সেই জানালাটিতে দাড়াইয়াছে। হাসিমুখে বলিল—ও বিপিনদা ! সাধে কি বিপিনের মনে হয়, মানীর সঙ্গে তাহার পরিচিত। আর কোনো মেয়ের তুলনা হয় না; আর কোন মেয়ে তাহার মন বুঝিয়া এ রকম করিত ? মানীর সঙ্গে ইহা লইয়া কোনো কথাই তো হয় নাই এ পর্য্যস্ত। অথচ সে কি করিয়া বুঝিল, বিপিনের মন কি চায় । বিপিন হাসিয়া জবাব দিল- ও মানী ! —মনে পড়ে ? —সব পড়ে । —ঠিক ? —নিশ্চয় ! নইলে কি করে বুঝলুম। বাবা, তুমি অন্তৰ্য্যামী মেয়েমানুষ। মানী জিৰ বাহির করিয়া দুই চোখ বুজিয়া মুখ ভ্যাঙ্গাইল । —সত্যি মানী, তোর তুলনা নেই! —সত্যি ? —নিভুল সত্যি।