পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८बनैौगैब्र कूलबाफ़ी |e 88 কি খেয়েচ খোকাবাৰু? —ভাত খেয়েচি । —এখন কি খেয়েচ ? —আর কিছু নেই, তাত নেই। দিদি খায় নি। তখন সেখানে কণার ছোট বোন এগারো বছরের পিন্ট-জাসিল। প্রতুল বলিল, কণা ধায় নি কেন ? পিন্ট-বলিল, তাত ছিল না। ওবেলা মূল ধার করে নিয়ে এল দিদি ওই সরকারদের বাষ্ঠী থেকে । দাদা কাল কোথায় গিয়েচে, আজও তো ফিরলো না । মহেশ চক্ষত্তির দোকানে টাকা পাবে বলে চাল ভাল দেয় না আজকাল, দিদি এখন কোথায় পাবে, কোন দিকে যাবে ? প্রতুল অনেক কথা ভাবিল। কণা সংসার চালাইতে পারে না টাকার অভাবে, সে নিজে যদি বাহির হইতে দু'দশ টাকা সাহায্য করে সেটা যেন ভিক্ষা দেওয়ার মত দেখায়। লে টাকা হাত পাতিয়া লণ্ডয়ায় কণার গৌরব ক্ষুন্ন হয়। কণাকে সে-অপমানের মধ্যে টানিয়া মানিতে তাহার মন সরে না অথচ এ রকম কষ্ট করিয়াই বা কণা কতদিন বাচিবে ; সবজিকের মীমাংসা করিতে হইলে বিবাহের কথাটা পাড়িতে আর বিলম্ব করা উচিত, নয়। আজই সে কণার সঙ্গে এ বিষয়ে একটা বোঝাপড়া করিবে অাগে—তাহার পরে শশধরকে জানাইলেই চলিবে এখন। শশধরটা মায়য নয়, সে ইতিমধ্যে বেশ বুঝিয়া ফেলিয়াছে । কণা চা লইয়া ঘরে ঢুকিল, বলিল—একটু দেরী হয়ে গেল প্রতুলদা, দুধ ছিল না একেবারে। আনলাম রায় কাকাদের বাড়ী থেকে। দেখুন তো চা-টা খেয়ে কেমন হয়েচে.? প্রতুল বলিল—ব্যস্ত হয়ে ঘুরুচ কোথায় কণা ? বসো এখানে, কথা আছে। শীতকালের বিকাল, কণাদের বাড়ীর চারিপাশে বনজঙ্গলে বনমোঁরী লতায় ফুল ফুটিয়াছে—বেশ একটা উগ্র স্বগন্ধে অপরাহ্লের শীতল বাতাস ভরপুর। ভাঙ্গা ইটের পাচিলের গায়ে রাঙা রোদ পড়িয়া কণাদের পুরানো পৈতৃক ভদ্রাসনের প্রাচীনত্ব ও দারিদ্র্য যেন আরও বাড়াইয়া তুলিয়াছে। কণা বসিল, প্রতুলের মুখের দিকে আগ্রহের সহিত চাহিয়া বলিল, কি প্রতুলদা ? —তোমাকেই কথাটা বলি, কিছু মনে করো না কণা ! অনেকদিন থেকে কথাটা জামার মনে রয়েচে—বলি বলি করে বলা ঘটে উঠচে না । তুমি আমায় বিয়ে করবে কণা ? আমি অত্যন্ত সৌভাগ্য বলে মনে করবে, যদি— 源 কণী খানিকটা চুপ করিয়া রহিল। খানিকক্ষণ স্বজনের কেহই কথা বলিল না। তারপরে কণা ধীরে ধীরে অনেকটা চাপ স্বরে বলিল, সে হয় না, প্রতুলদা ।