পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cपनौोब्र बूलबोर्जेंो Wor) "মায়া’-কাব্যের খ্যাতনামা কৰি बनडांब्रउँौद्ध कुर्डौ जखांन শ্ৰীযুক্ত ভূষণচন্দ্র চক্রবর্তীকে (বড় বড় অক্ষয়ে ) সম্বর্ধনা করিবার জন্ত কলিকাতাবাসিগণের জনসভা ( আধইঞ্চি লম্বা অক্ষরে ) স্থান-ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটু্যট হল, সময়-সন্ধ্যা ৬-টা । সভাপতিত্ব করিবেন একজন খ্যাতনামা নামজাদা প্রবীণ সাহিত্যিক। ব্যাপার কি ? চক্ষুকে যেন বিশ্বাস করিতে পারিলাম ন—ভূষণদাঙ্গাকে সম্বৰ্দ্ধনা করিবার জন্ত কলিকাতাবাসিগণ (কি ভয়ানক ব্যাপার । ) জনসভা আহবান করিয়াছেন ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটুটে হলে অতবড় নামজাদা সাহিত্যিকের সভাপতিত্বে ! কই নারদ-কাব্যের এতাদৃশ জনপ্রিয়তা তো পূৰ্ব্বে মোটেই শুনি নাই । যাহা হউক, হইলে খুব তাল কথা, কিন্তু কলিকাতাবাসিগণ কি ক্ষেপিয়া গেল হঠাৎ ৷ হ্যাওবিলের তারিখ লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম, সেই দিনই সন্ধ্যাবেলা সভা । সাড়ে ছ’টায় বেশী দেরী নাই, যদি লোকের খুব ভিড় হয়, পৌনে ছ’টায় ইনস্টিটুটে গিয়া চুকিলাম। তখনও কেহ আসে নাই—অতবড় হল একেবারে খালি । এক পাশে গিয়া বসিলাম । ছ’টা বাজিল, জনপ্রাণীরও দেখা নাই—এই সময় আবার জোরে বৃষ্টি নামিল, সওয়া ছ’টা-কেহই নাই, লাঞ্চে ছ'টার দু-এক মিনিট পূর্বে দেখি ভূষণদাদা অত্যন্ত উত্তেজিতভাৰে একতাড়া কাগজ বগলে হলে প্রবেশ করিতেছেন, পিছনে চার-পাচটি ভদ্রলোক—তাহাদের কাহাকেও চিনি না । তখন সভার সাফল্য সম্বন্ধে আমার ঘোর সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছে, এ অবস্থায় ভূষণদাদার সহিত দেখা করিলে তিনি অপ্রতিভ হইতে পারেন—স্বতরাং হলের বাহিরে গা ঢাকা দিয়া রহিলাম । পৌনে সাতটা-জনপ্রাণী না, সভাপতিও অস্থপস্থিত। সাতট, তথৈবচ। এমন জনশূন্ত জনসভা যদি কখনও দেখিয়াছি। ভূষণদাদার অবস্থা দেখিয়া বড় কষ্ট হইল। তিনি ও তাহার সঙ্গে ভদ্রলোক কয়জন কেবল ঘর-বাহির করিতেছেন, নিজেদের মধ্যেই উত্তেজিত তাৰে কি পরামর্শ করিতেছেন—আবার একবার করিয়া ইনস্টিটু্যট-এর গেটের কাছে ঘাইতেছেন। সওয়া সাতট—কাকত পরিবেদনা। সাড়ে সাতটা—পূর্ববং অবস্থা। কলিকাতাবাসিগণের জনসভায় কলিকাতাবাসিগণই আসিতে ভুলিয়া গেলেন কেমন করিয়া ? পৌনে আটটার সময় ভূষণদাদা সঙ্গীদের লইয়া বাহির হইয়া গেলেন—অলক্ষণ পরে জামিও হুল পরিত্যাগ করিলাম । পরদিন বিছর মেলোমশায় তারিণীবাবুর লঙ্গে দেখা। তিনি আমাকে চেনেন খুৰ ভালই—বিল্লুর সঙ্গে কতবার সিমলা স্ট্রটে তার বাড়ীতে গিয়াছি। কুশল প্রশ্নাদির পরে তিনি বলিলেন, “তুন যে এখানে এসেছে হে, আমার বাসাতেই আজ আট দশ দিন আছে।