পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণীগীর ফুলবাড়ী లి:3 বলিল না, রাগ করিয়া এমন করিয়াছে একথা মিথ্যা কেন ভাল লাগিল না। বাকে এক মুঠ বেশী খাওয়াইবার জন্য উদ্বেগের আর তাহার অস্ত থাকে না, আজ তাহাকে পেট ভরিয়া খাওয়াইয়া দিতেও যেন কেমন এক বিত্র আলন্ত । মনের সমস্ত কিছু ভরিয়া শুধু বনোজ । শুধু মাত্র বনোজ, আর কেউ নাই। এই পৃথিবী, এই বিরাট জগতের যা কিছু সব আজ নিঃশেষে এই বিধবা তরুণীটির নিকট হইতে মুছিয়া গিয়াছে, কেবলমাত্র ‘বনোজ’ আজি সেখানকার অধীশ্বর, কেউ আর কোথাও নাই। সব ফাক, সব খালি । খোকার খাওয়া-পৰ্ব্ব শেষ হইলে স্কলেখা সংসারের ছোটখাটো কাজ করিল। আজ কাজ করিতেও কেমন এক বিতৃষ্ণ । দেখিল, মায়ের সন্ধ্যা-আহ্নিকের ব্যবস্থা পৰ্য্যন্ত এখনও হয় নাই । খোকার এবং অন্যান্তের বিছানা খালি পড়িয়া আছে, চাদর পাত হয় নাই। বড় ঠাকুরের আসিয়াই গামছা চাই, অথচ র্যাকে গামছাট পৰ্য্যন্ত ঝোলান নাই । এসব কাজ স্থলেখাই করে, এবং করিতে না পারিলে দুঃখিতও হয়। কিন্তু আজ কিছু ভাল লাগিল-না, কেমন যেন একটা অবসাদ, সমস্ত মাথার ছিদ্ৰ দিয়া যেন অন্য কাহারও কথাই মনে ঢুকিতে লাগিল। ছোট ননা ‘মিল্প আসিয়া বলিল—বোঁদি, আমার পড়াটা একটু দেখিয়ে দেবে চল না। চল, বলিয়া তাহাকে পড়াইতে বসিল । কিন্তু আজকে যেন কিছু ভাল লাগে না, পড়াইতে পড়াইতে অকস্মাৎ কখন মনে পড়িয়া গেল—সন্ধ্যা হইলেই বনোজ ঐ বাশিটি লইয়া বাজাইতে বসিত, আস্তে আস্তে স্বর তুলিত গানের । মিছু বলিল, তার পর কি হল বৌদি, কি হবে বলে দাও না। বোঁদি বলিল, বাশির ইংরাজী তাও জানো না— মিছু বলিল, বা, তা বুঝি জিজ্ঞেস করছি ? বোঁদির মন অবচেতনা হইতে ফিরিয়া আসিল। বলিল, আজ থাক বোন। আজ তাল লাগছে না। ধীরা কইরে ? কে, বড়দি ? हैं । সে ত আর স্কুল হতে আজ বাড়ী আসেনি। কেন রে ? ওদের আজ প্রাইজ না কি, বললাম আমাকে নিয়ে যেতে—নিলে না। বোঁদি চুপ করিয়া রছিল। মিছু বলিল, আজ ওয়া হোস্টেলে থাকবে, কাল সকালে আসবে। उबांधह । ধীরা থাকিলে তাহার সহিত গল্প করিয় কিছুটা সময় তৰু কাটানো যাইত। আজ তাহারও উপায় রছিল না, অদৃষ্ট যখন খারাপ হয় তখন আমনি করিয়াই হয় ।