পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী একজন বলিল, রিপোর্ট গুনে কী করব মশাই, আমাদের ফ্যামিলি সব এখান থেকে চলে গিয়েছে কাটোয়ায়, আজ আট-দশ দিন হল । সেখানে এখন সবাই থাকবে। এখানে বাড়ী চাৰিবন্ধ, ছেলে থাকবে কার কাছে ? সেখানেই ভক্তি ক'রে দেব । অন্য লোকটি বলিল, আমাদের দেশ মশাই বৰ্দ্ধমানে। আমাদের দোকান ছিল, উঠিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছি। দেশের স্কুলে ভৰ্ত্তি করব। আপনি সাহেবকে বলুন, ট্রান্সফার আজই দিতে হবে। আমাদের পাড়ায় লোক নেই, থাকব কী ভরসায় ? —রিপোর্টটা শুতুন না। —না মশাই, মন ভাল না। ওসব শোনবার সময় নেই। আমার ব্যবস্থাটা করে দিন তাড়াতাড়ি । মিঃ আলম ফিরিয়া আসিলে সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, কী হল ? —স্তার, ওরা শোনে না। ট্রান্সফার না নিয়ে ছাড়বে না মনে হচ্ছে ! —ছেলে এল না কেন অাজ ? রামেন্দুবাবু বলিলেন, ছেলে কোথায় যে আসবে স্তার ? সব ভেগেছে। নমো-নমো করিয়া মীটিং শেষ হইল। রিপোর্ট পাঠ হইল স্কুলের মাস্টারদের সামনে । মীটিং অস্তে হেডমাস্টারের নানারকম সারকুলাব বাহির হইল—এ মাস্টারকে এ করিতে হইবে, ও মাস্টারকে ও করিতে হইবে। ছুটির সারকুলার বাহির হইল-দোসরা জানুয়ারী স্কুল খুলিবে। হেডমাস্টারের নিকট মাস্টারের বিদায় লইলেন। অতি সাধের লিথো-করা বিজ্ঞাপন কাহাদের মধ্যে বিলি করা হইবে ? স্কুলের বোর্ডে থানকতক আঠা দিয়া জুড়িয়া চায়ের দোকানে যন্ধুবাবু আর শ্ৰীশবাবু হাসিয়া বাচেন না। ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, সাহেবের কী কাণ্ড ! কোনো ত্রুটি হবার জো নেই। যদুবাৰু বলিলেন, নাং, হেসে আর বঁচি নে—হাসতে হাসতে পেট ফুলে উঠল। হাসতেও পারি নে সাহেবের সামনে—. এই সময় জ্যোতিবিনোদ একটা পুটুলি হাতে ঘরে ঢুকিয়া বলিল, আজ শেষ দিনটা, ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করা যাক যছদ । ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, হাতে পোটলা কিসের হে ? --আঞ্জ বাড়ী যাচ্চি রাত্রের গাড়ীতে । —এ কদিনের জন্যে ? —না দাদা, বাড়ী থেকে চিঠি এসেছে। যাই চলে, যা হয় হবে। এখন কলকাতা আসা বোধ হয় হবে না । সোহেব कि छूtि cम”द ? —না হয় চাকরি ছেড়ে দেব। দেশে ঘর আছে, ভিক্ষে করে খাব। বামুনের ছেলে, ज्राउ जबा/नरे।